বাংলাদেশের আন্তঃসীমান্ত নদীগুলোতে ভারতের অবৈধ ও একতরফা বাঁধ ভাঙার দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী বাঁধ ভেঙেছে ইনকিলাব মঞ্চ। এসময় তারা আগামী শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ঢাকা থেকে ত্রিপুরার ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে ছাত্রজনতার লংমার্চ ঘোষণা করেছে এবং এতে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেল ৫টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত গণধিক্কার ও ভাঙার গান অনুষ্ঠানে লংমার্চ এর পোস্টার প্রদর্শনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয় তারা।
প্রতিরোধমূলক গান এই আন্দোলনের ভাবধারা ও উদ্দেশ্যকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে এবং এতে জাতির ঐক্য ও স্বাধিকার প্রতিষ্ঠার যে অবিস্মরণীয় ঐতিহ্য রয়েছে তা পুনরুজ্জীবিত হবে বলে প্রত্যাশা আয়োজকদের।
এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজকের ইভেন্টের মূল উদ্দেশ্য হলো, ভারতের নির্মিত সব অবৈধ বাঁধ অবিলম্বে ভেঙে ফেলার দাবি তুলে ধরা এবং নদীকে তার স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানানো। একাদশ শতাব্দীতে বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা ছিল প্রায় দেড় হাজার। এখন বর্ষাকালে পানি থাকলেও শীতকালে প্রায় পুরোটাই যেন ধানক্ষেত। যেখানে বাংলার চিরাচরিত রূপ ছিল নদীময়। নদীর পানি প্রবাহের ওপরেই যে দেশের জন্ম, নদী বিপন্ন হলে সে দেশের অস্তিত্বও কতটা হুমকির সম্মুখীন হতে পারে তা বলা বাহুল্য। বাংলাদেশের নদীগুলো যেভাবে খুন হচ্ছে তার উল্লেখযোগ্য কারণ হলো ভারতের অন্যায় একতরফা আগ্রাসী তৎপরতা।
বিজ্ঞপ্তিতে আন্তর্জাতিক নদীর ব্যবহার সম্পর্কে ১৮১৫ সালে ভিয়েনা সম্মেলনে এবং ১৯২১ সালে আন্তর্জাতিক দানিয়ুব নদী কমিশন কর্তৃক প্রণীত আইনের আন্তর্জাতিক নদীর সমতার কথা তুলে ধরা হয়। একইসঙ্গে পানি সম্পদের সুষম বণ্টনের নীতি ১৯৭২ সালে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত মানব পরিবেশ সংক্রান্ত জাতিসংঘের কনফারেন্স ঘোষণাপত্রের ৫১ অনুচ্ছেদ ও ১৯৬৬ সালে আন্তর্জাতিক আইন সমিতির হেলসিংকি সম্মেলনে গৃহীত নীতিমালার ১৫ অনুচ্ছেদ তুলে ধরা হয়।
ভারত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইন অমান্য করেছে উল্লেখ করে বলা হয়, শক্তির জোরে একের পর এক বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ৫৪টি নদীর প্রায় সব প্রবাহ পথে বাঁধ দিয়ে বাধার সৃষ্টি করে এর বিশাল পানিপ্রবাহ কৃত্রিম খালের সাহায্যে উঁচু অঞ্চলে প্রবাহিত করে কৃষিক্ষেত্রসহ ইচ্ছেমতো সব ক্ষেত্রে পানি ব্যবহার করছে। ভারতের এসব আগ্রাসী তৎপরতা রুখে দাঁড়ানোর এখনই সময়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।