খাজনার নামে লাখ টাকা আদায়
মোকামতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার মোকামতলায় সড়ক ও জনপদের জায়গায় অবৈধ ভাবে মাছের আড়ৎ গড়ে তোলা হয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে ২৫ থেকে ২৬টি আড়ৎ ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওইসব আড়ৎ ঘরে মাছ বেচাকেনা চলে। স্থানীয়সহ পাশে জয়পুরহাট নওগাঁ নাটোর রাজশাহী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মাছের আমদানি হয়ে থাকে।
আমদানি হওয়া মাছগুলো বগুড়া শহরসহ গাইবান্ধা জেলা ও সোনাতলা উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মৎস ব্যবসায়ীরা মাছ কিনে নিয়ে যায়। মাছ বহনের জন্য মিনি ট্রাক ভটভটি ও অটো ভ্যান গাড়ি ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন ওইসব গাড়ির জন্য আড়ৎ এর পাশ দিয়ে যাওয়া মোকামতলা জয়পুরহাট ও বগুড়া রংপুর মহাসড়কে অনেক সময় যানজটের সৃষ্টি হয়।
কয়েকজন আড়ৎ ব্যবসায়ী জানান মাছ বহনের গাড়ির সংখ্যা দেড় থেকে পৌনে দুইশ’ হবে। প্রতিদিন আড়ৎগুলো থেকে কোটি টাকার বেশি মাছ বেচাকেনা হয়। মাছ ক্রেতা বিক্রেতা ও আড়ৎ ঘর থেকে খাজনার নামে টাকা আদায় করা হয়।
যার পরিমাণ প্রতিদিন লক্ষ টাকার বেশি। স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিদের দাবি সড়ক ও জনপদের জায়গায় থেকে অবৈধ মাছের আড়ৎ অপসারণ করে অন্য স্থানে মাছের আড়ৎ করার ব্যবস্থা করা হোক। বগুড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আছাদুজ্জামান জানান, কয়েকবার ওইসব অবৈধ মাছের আড়ৎ ঘর উচ্ছেদ করা হয়েছিল।
কিন্তু উচ্ছেদের পর আবারও তারা আড়ৎ ঘর স্থাপন করে থাকে। ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, মহাসড়কে ফোর লেন কাজ শেষ হওয়ার পর আমরা যখন সড়কটি বুঝে পাব। তখন ওইসব অবৈধ আড়ৎ ঘর স্থানীয়ভাবে উচ্ছেদ করার পরিকল্পনা নেওয়া হবে’।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।