বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আগুনে পুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত বগুড়া সদর থানার সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক এমপি মো. হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
আজ মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি সংস্কার কাজ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেন, আন্দোলনের থানা ভবনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার কারণে থানার কার্যক্রম পরিচালনা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
বগুড়া শহর ছাড়াও সদর উপজেলাবাসীর নিরাপত্তা ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয় থানা থেকে। অথচ থানাতেই পুলিশ বসতে পারছে না। এরপর তিনি শহরের বড়গোলাস্থ ক্ষতিগ্রস্ত সদর উপজেলা ভুমি অফিস পরিদর্শন করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন, বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ, সাংবাদিক ইউনিয়ন বগুড়ার সভাপতি গনেশ দাস, সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা পলাশ চন্দ্র সরকার, শাহজাহানপুর উপজেলা বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান অটল প্রমুখ।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর গত ৫ আগস্ট বিকেলে বিক্ষুব্ধ জনতা বগুড়া সদর থানায় হামলা করে। এসময় থানার ভাঙচুর করে অগ্নিসংযোগ করা হয়। লুটপাট করা হয় আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন মালামাল।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইহান ওলিউল্লাহ জানান, বগুড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা পৌর তহবিল থেকে থানা ভবনের কিছুটা সংস্কার কাজ করে দেন।
সংস্কার কাজ চলাকালে সরকারি সিদ্ধান্তে সারাদেশের মতো বগুড়া পৌরসভার মেয়রকেও অপসারণ করা হয়। এরপর থানা ভবন সংস্কারের কাজ থমকে যায়। এমন সময় এগিয়ে আসেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক এমপি মো. হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু।
তার উদ্যোগেই বগুড়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেনের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে থানা ভবনের কাজ শুরু করা হয়। তোফাজ্জল হোসেন থানা ভবনে টাইলস লাগানো থেকে শুরু করে দরজা-জানালা এবং ডেকোরেশনের কাজ করে দিচ্ছেন। ওসি আরও জানান, বগুড়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরশাদুল বারী এরশাদ নিজ তহবিল থেকে থানা ভবন সংস্কারের জন্য অনুদান দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।