ভিডিও

রংপুরে রহস্যময় ব্রিফকেস নিয়ে তোলপাড়, শেষে মিলল চিরকুট

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ০৯:১৪ রাত
আপডেট: সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২৪, ০৯:১৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

রংপুর জেলা প্রতিনিধি : ব্রিফকেসে কি আছে, কি মিললো, এ নিয়ে রংপুরে আলোচনার শেষ নেই। একটি পরিত্যক্ত লাল রঙের ব্রিফকেস নিয়েই জল্পনা কল্পনা চলছে রংপুরে। পুকুর থেকে উদ্ধার করা হলো ব্রিফকেস। উদ্ধারকৃত ব্রিফকেসে মিললো একটি লকার। লকারের ভেতর একটি চিরকুট সেই সাথে কালো কাগজের একটি বান্ডিল। সেই রহস্যময় ব্রিফকেসটি রংপুর নগরীর কলেজপাড়ার একটি ছাত্রাবাসের পেছনের পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে এগেুলো উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার ভোরে বাবুখা এলাকায় নজরুল পাঠাগারের পাশে একটি পরিত্যক্ত লাল রঙের ব্রিফকেস পান আতিকুর রহমান নামে এক নৈশপ্রহরী। সেটি বাড়িতে নিয়ে খুললে ভেতরে একটি লকার দেখতে পান তিনি। লকারের ভেতর কি আছে, সেটি জানার আগ্রহ থাকলেও লকার খুলতে না পারার কারণে পুলিশের জাতীয় সেবায় (৯৯৯) ফোন দেন তিনি।

পুলিশের জাতীয় সেবা স্থানীয় থানার নম্বর দিয়ে যোগাযোগ করতে বলেন। পরে আতিকুর কোথাও আর যোগাযোগ না করে স্থানীয় নজরুল পাঠাগারের সভাপতি রশিদুস সুলতান বাবলু ও তার বন্ধু মিলনের কাছে লকারটি দেন। কিন্তু তারা সেটি পুলিশকে না দিয়ে নিজেরাই ভেঙে ফেলেন। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে লকারটি পুকুরে ফেলে দেন তারা।

এদিকে রশিদুস সুলতান বাবলু থানায় লকারটি জমা দিয়েছেন কিনা স্থানীয় যুবকরা জানতে চাইলে থানায় জমা দেয়া হয়েছে বলে জানান বাবলু। এ কথা শুনে স্থানীয় যুবকরা থানায় খোঁজ খবর নিয়ে দেখেন এমন কোন লকার থানায় জমা কেউ দেননি। পরে আবারো যুবকরা রশিদুস সুলতান বাবলুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে আবারো তিনি থানায় জমা দেয়ার কথা জানান।

যুবকরা বিষয়টিতে সন্দেহ মনে করে সরাসরি সেনাবাহিনীকে জানান। স্থানীয়দের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে অভিযান চালায় যৌথবাহিনী। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে রশিদুস সুলতান বাবলু ও নৈশপ্রহরী আতিককে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সহায়তায় পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয় রহস্যময় লকারটি।

স্থানীয়দের দাবি, লকারে থাকা কাগজটিতে ৭৩ হাজার ডলার থাকার কথা লেখা ছিল। তবে তাৎক্ষণিকভাবে পুকুর থেকে কোনো ডলার উদ্ধার হয়নি। তবে ভেঙে ফেলা লকারের ভেতর একটি চিরকুট ও কালো কাগজের একটি বান্ডিল উদ্ধার হয়েছে।

নজরুল পাঠাগারের সভাপতি রশিদুস সুলতান বাবলু বলেন, ওই লকারে একটি কাগজ ছিল এবং কালো কাগজের ১৮টি বান্ডিল ছিল। আমার বন্ধু মিলনের পরামর্শে পুলিশি ঝামেলা এড়াতে লকারটি আমরা পুকুরে ফেলে দেই।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) শাহ আলম বলেন, অভিযানে পুকুর থেকে ছেঁড়া ব্যাগ, বক্স ও কিছু কাগজ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনায় আটক দুইজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে যৌথবাহিনী। তারপরও বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে পর্যালোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান হয়।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS