ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধার কাছে চাদঁবাজি করার সময় দুই ভূয়া সাংবাদিককে আটক করেছে স্থানীয়রা। পরে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের জারুতলা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃত ভূয়া সাংবাদিকরা হল-জেলার বিজয়নগড়র উপজেলার মেরাশানি ইউনিয়নের মো. ফয়েজ উদ্দিন মিয়ার ছেলে ফজলে এলাহী প্রকাশ উজ্জল ভূইয়া (৫০) ও একই উপজেলার সিংগারবিল এলাকার বীর মুত্তিযোদ্ধা শহীদ মিয়ার ছেলে ইয়ানুর লিটন স্বাধীন (৩৩)। এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি লোগসহ মাইক্রোফোন ও আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
রোববার (৮ সেপ্টেম্বের) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে মো. জহিরুল ইসলাম বাদি হয়ে চাদাঁবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, শনিবার রাতে জহিরুলের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের বাড়িতে যায় দুই ভূয়া সাংবাদিক উজ্জল ও লিটন। সেখানে গিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জামালের মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন প্রমানাদি খুঁজতে থাকেন সাংবাদিকরা। বিভিন্ন কাগজপত্র তিনি দেখানোর একপর্যায়ে সাংবাদিকরা আবু জামালের কমান্ডার সনদ দেখতে চান। কিন্তু তার কাছে কমান্ডার সনদ না থাকায় দুই ভূয়া সাংবাদিক তার কাছে ১২ হাজার টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে সাংবাদিকরা ওই মুক্তিযোদ্ধার নামটি ভূয়া মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় দিয়ে দেবেন বলে ভয় দেখান। এসময় আবু জামাল তাদের ৫ হাজার টাকা দিয়ে দেন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে সাক্ষীদের ডাক দিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা কোনো সাংবাদিকরা না বলে জানান। পরে তাদের আটক করে পুলিশের কাছে তুলে সোর্পদ করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের কাছ থেকে এজাহার পেয়ে আমরা দুইজনের বিরুদ্ধে চাদাঁবাজির অভিযোগে মামলা নিয়েছি। আসামীদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের ৫ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে পরবর্তি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।