ভিডিও

থানা মোড় থেকে শাহ ফতেহ আলী মোড় প্রতিদিন চাঁদাবাজি প্রায় ৫০ হাজার টাকা

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২৪, ০৭:০৯ বিকাল
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪, ০৩:৪৩ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শহরের থানা মোড় থেকে শাহ ফতেহ আলী ব্রিজ মোড় এবং মাঝে কাঁঠালতলা (চাঁদনী বাজার), এই পথে প্রায় একশ’ ব্যবসায়ী আছেন যারা রাস্তা দখল করে বছরের পর বছর ব্যবসা করে আসছেন। ভাসমান এই ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগই মৌসুমী ফলের ব্যবসা করেন। আবার কেউ আছেন তারা অন্য ব্যবসাও করেন।

রাস্তা দখল করে ব্যবসা করার সাহসটা যুগিয়েছেন এক ওয়ার্ড কাউন্সিলর। আর তাদের সহযোগী হিসেবে রয়েছেন এই সড়কের পাশের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা। এই সড়কের পাশে যত দোকান রয়েছে তাদের বেশিরভাগ ব্যবসায়ী তাদের দোকানের সামনে রাস্তা ভাড়া দেন। এজন্য তারা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন দুইশ’ টাকা করে নেন।

নিজ নিজ দোকানের সামনে পৌরসভার রাস্তা ভাড়া দিয়ে মাসে ৬ হাজার টাকা করে কামাচ্ছেন এই ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক দিন ধরে থানা মোড় থেকে ফতেহ আলী ব্রিজ মোড় এবং মাঝে কাঁঠালতলার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। কাঁঠালতলা এলাকায় ফলের ব্যবসা করেন এমন কয়েকজন জানান, কাঁঠালতলায় ব্যবসা করার জন্য তারা এক কাউন্সিলরের প্রতিনিধিকে প্রতিদিন ৬০ টাকা করে দিতেন।

৫০ টাকা তারা নিতেন এবং ১০ টাকা দিতেন যারা রাস্তা পরিষ্কার করেন। ওই কাউন্সিলর নিজেই এটা ঠিক করে দিয়েছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ওই কাউন্সিলরের প্রতিনিধিরা আর চাঁদা নিতে আসেন না। এক মাস হলো তারা কাউকে চাঁদা না দিয়ে ব্যবসা করছেন। ফলের ব্যবসায়ীরা চাঁদা না দিলেও ফতেহ আলী বাজারের ইজারাদারের লোক রাস্তার সবজি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা নেন। রাস্তাটি ফতেহ আলী বাজারের অংশ না হলেও রাস্তা থেকে ইজারাদারের লোকজন টাকা তুলছেন অবাধে।

এদিকে থানা মোড় থেকে ফতেহ আলী ব্রিজ পর্যন্ত রাস্তার ধারে প্রতিটি দোকানের সামনে রাস্তা দখল করে প্রায় একশ’ ভাসমান ব্যবসায়ী ব্যবসা করছেন। এই ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা যে দোকানের সামনে বসেন তাদেরকে প্রতিদিনের জন্য দুইশ’ করে টাকা দেন। ভাসমান ব্যবসায়ীরা তাদের নাম না বলে জানান, এই সিস্টেম অনেক আগে থেকেই চালু আছে। কোন কোন দোকানের সামনের রাস্তা দুই জনের কাছে ভাড়া দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে স্থায়ী দোকানীদের সাথে কথা বলতে গেলে দোকানের মূল মালিককে পাওয়া যায়নি। অনেকই বলছেন তারা কর্মচারী এ বিষয়ে কিছু জানেন না। আবার অনেকেই কোন কথা বলতে রাজি হননি। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত ওই কাউন্সিলরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকেও পাওয়া যায়নি।

পৌরসভার প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস জানান, কাঁঠালতলার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা তোলার সত্যতা পাওয়া গেছে। পৌর প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আজ-কালের মধ্যে অভিযান চালানো হবে। কাউকে রাস্তা দখল বা রাস্তায় বসে ব্যবসা করতে দেওয়া হবে না।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS