সুজানগর (পাবনা) প্রতিনিধি : গ্রাহকদের সরলতার সুযোগে পাবনার সুজানগরে কুদরত উল্লাহ পলাশ নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার অগ্রণী ব্যাংক নাজিরগঞ্জ শাখায়। এ নিয়ে উপজেলায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে উক্ত ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়ি উপজেলার চলনা চরপাড়া হওয়ায় উপজেলার সচেতন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
জানা যায়, অগ্রণী ব্যাংক নাজিরগঞ্জ শাখার কর্মকর্তা (ক্যাশ) উক্ত কুদরত উল্লাহ পলাশের সাথে ব্যাংকের ২৫/৩০জন গ্রাহকের বেশ সখ্যতা গড়ে ওঠে। আর এ সুযোগে ব্যাংক কর্মকর্তা পলাশ ওই সকল গ্রাহক বিভিন্ন সময় ব্যাংকে টাকা জমা দিলে সেই টাকা জমা রেজিস্টার এবং হিসাব নম্বরে পোস্টিং না দিয়ে আত্মসাৎ করেন।
তবে তিনি ওই সকল টাকা জমা রেজিস্টার এবং হিসাব নম্বরে পোস্টিং না দিয়ে আত্মসাৎ করলেও গ্রাহকদের ভুয়া জমা ভাউচার দিয়ে দিতেন। অবশ্য অনেক সময় ওই সকল গ্রাহকরা তাকে বিশ্বাস করে টাকা জমা দেওয়ার পর জমা ভাউচারও নেননি। ফলে গ্রাহকদের পক্ষে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি আঁচ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলার নুরুদ্দিনপুর গ্রামের ভুক্তভোগী গ্রাহক উজ্জ্বল মৃধা বলেন, তিনি কয়েক দফায় ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টারে গিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তা পলাশের কাছে ৯ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জমা দেন। কর্মকর্তা তাকে যথানিয়মে জমা ভাউচারও দেন। কিন্তু গত সপ্তাহে বেশ কিছু টাকা উত্তোলন করার জন্য ব্যাংকে চেক জমা দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকে তার কোন টাকা জমা নেই।
বিষয়টি ব্যাংকের ম্যানেজার কামরুজ্জামানকে জানালে ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার ভাউচার যাচাই করেন এবং আরও ২৫/৩০জন গ্রাহকের প্রায় অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনা ধরা পড়ে। ভুক্তভোগী গ্রাহকদের চাপে প্রতারক ব্যাংক কর্মকর্তা পলাশ বেশ কয়েকজন গ্রাহকের ২০/২৫ লাখ টাকা ফেরৎ দিয়েছেন বলেও জানা যায়।
অগ্রণী ব্যাংক সুজানগর শাখার ম্যানেজার শরীফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে উক্ত পলাশের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।