ভিডিও

সংবাদ সম্মেলন

বগুড়ার এক নারী দাদন ব্যবসায়ীর হাত থেকে বাঁচার আকুতি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০২:০০ দুপুর
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২৪, ০৪:৫৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ায় এক নারী দাদন ব্যবসায়ীর মামলার হয়রানি থেকে রক্ষা পেতে ও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। বগুড়া শহরে মালগ্রাম ডাবতলা এলকার শাহিনা বেগম আজ বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকালে এই সংবাদ সম্মেলন করেন। 

এসময় লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন বলেন, শহরের মালগ্রাম এলাকার শহিদুল ইসলাম মিঠুর স্ত্রী আরজুনা বেগম জীনার দাদন ব্যবসার ফাঁদে পড়ে এলাকার শত শত নিরীহ মানুষ আজ সর্বস্বান্ত। তার প্রতারণার শিকার হয়ে ও একের পর এক মামলার বেড়াজালে পড়ে অনেকেই ঘরবাড়ি ছেড়ে পলাতক জীবন যাপন করছেন। বিপদে পড়ে তার কাছে থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে সুদে-আসলে ৭/৮ গুণ টাকা পরিশোধ করার পরেও তিনি তাদেরকে মামলার ফাঁদে ফেলে আরও কয়েকগুণ টাকা দাবি করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে দাদন ব্যবসায়ী জীনা বেগমের কার্যকলাপ তুলে ধরে বলা হয়, তার কাছে থেকে তিনি ২০২২ সালে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্প দিয়ে দুই লাখ টাকা নেন। গত দু’বছরে তাকে ৬ লাখ টাকা দিলেও আদালতে তার নামে চেক ডিজঅনার করে ১২ লাখ টাকার মামলা দেওয়া হয়। একইভাবে মামুনুর রশিদের স্ত্রী হেনা বেগমের পাওনা দেড় লাখ টাকার বিপরীতে ৭ লাখ টাকা পরিশোধ করার পরেও ৮ লাখ টাকার মামলা দেন। নান্টুর স্ত্রী শেলি বেগমের এখ লাখ টাকার বিপরীতে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধের পরেও ৮ লাখ টাকার মামলা, তহমিনার বিরুদ্ধে ১৪ লাখ টাকার মামলা, আকবর শেখের ছেলে শান্ত ৫০ হাজার টাকা নিয়ে সুদে-আসলে দ্বিগুণ টাকা পরিশোধ করার পরেও মামলার ফাঁদে ফেলে তার বাড়ি নিজের নামে লিখে নেন। রেজাউল করিমের স্ত্রী মনি বেগমের দেড় লাখ টাকার বিপরীতে চারগুণ পরিশোধ করার পরেও ১৬ লাখ টাকা দাবি করছেন। ওই এলাকার গোলাপীর বাড়ি লিখে নিয়েছেন। এছাড়াও আব্দুর রাজ্জাক ভিকেলের ছেলে আব্দুস সালাম রাজিবের সব টাকা পরিশোধের পরেও ৫ লাখ টাকার চেক জালিয়াতি মামলা করে হয়রানী করে যাচ্ছেন। এভাবে শত শত মানুষকে সর্বস্বান্ত করছেন এই দাদন ব্যবসায়ী জীনা বেগম। তার দাপটে এখন এলাকায় চলাফেরা করা, এমনকি কেউ বাড়িতে থাকতে পারছেন না। অনেক পরিবার মানসম্মান রক্ষার্থে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি দাদন ব্যবসা করে অনেক জায়গা জমি, বাড়িঘর এবং ঢাকা শহরের অভিজাত এলাকায় কয়েকটি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে অভিযোগ করা। এমতাবস্থায় এসব ঘটনার সঠিক তদন্ত করে এই দাদন ব্যবসায়ীর মিথ্যা অভিযোগের মামলা থেকে তাদের রক্ষা করতে এবং তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জোর দাবি জানানো হয়। 

 

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS