গাজীপুরের কালীগঞ্জে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যানে সিএনজিচালিত অটোরিকশার ধাক্কায় পাঁচ যাত্রী নিহত হয়েছেন।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ১১টার দিকে কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের মূলগাঁও মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় এ সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে। রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান।
নিহতরা হলেন, সাতক্ষীরা সদর থানার হাজীপুর এলাকার মগরব আলীর ছেলে নাজমুল হোসেন (৩৫), গাজীপুরের নোয়াগাও এলাকার সুভাষ কর্মকারের ছেলে অমল কুমার কর্মকার (৩৯), নরসিংদীর শিবপুর থানার আক্সাশাল এলাকার আব্দুর রহমানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম (৭৫), তার ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪৫) ও তার নাতী মোহাম্মদ আলীর ছেলে ৫ বছর বয়সী শিশু আমান উল্লাহ।
কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের লিডার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে এক নারীসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয়রা হাসপাতালে নেওয়ার পর এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালীগঞ্জ-টঙ্গী-ঘোড়াশাল বাইপাস সড়কের মূলগাঁও মাদ্রাসা সংলগ্ন এলাকায় রাত পৌনে ১১টার দিকে দাঁড়িয়ে থাকা একটি কাভার্ডভ্যানে দ্রুতগতির একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ধাক্কা দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় চার বছরের এক ছেলেশিশুকে এবং সিএনজি চালককে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান স্থানীয়রা। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। এছাড়াও প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুরুতর অবস্থায় সিএনজি চালককে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজিনা আফরিন বলেন, রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক শিশুকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এছাড়াও গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা সিএনজি চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, কাভার্ডভ্যানে সিএনজির ধাক্কায় তিনজন পুরুষ, একজন নারী ও এক শিশুসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।