বাগাতিপাড়া (নাটোর) প্রতিনিধি : নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর তিলিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তরুণ সাহা ওরফে মিঠুন। তার বাবার নাম মোহিত সাহা এবং মা ত্রিনয়নি সাহা। ছিট-কাপড়ের দোকানের কর্মচারীর কাজ করে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে ভালোই চলছিল মিঠুনের সংসার।
তবে হঠাৎ করেই শরীরে নানা জটিলতা দেখা দেয়। বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা করেও ভালো হয়নি। বড় ভাই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তাই সন্দেহ থেকে মাসখানেক পূর্বে ঢাকার জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে নিজের শরীরের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করান। তাতে দেখা যায় সত্যিই তার শরীরের ক্যান্সার বাসা বেঁধেছে।
চিকিৎসক জানিয়েছেন, দ্রুত তার কেমোথেরাপি দিতে হবে। আর সেই চিকিৎসায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু দরিদ্রতার কারণে তার পরিবারের পক্ষে কোনো মতেই এতো টাকা জোগাড় করা সম্ভব নয়। তাইতো তিনি তার বাড়িতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছেন।
তার দুই সন্তানের বড় ছেলে কৃষ্ণ এসএসসি পরীক্ষার্থী এবং ছোট ছেলে কুষ চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। দুই শতাংশ বাড়ির ভিটে ছাড়া তাদের আর কোন সম্পদ নেই। উপার্জনেরও কোন ব্যক্তি নেই। নিজেদের সহায় সম্বল বিক্রি করে কেমোথেরাপী শুরু করেছিলেন। কিন্তু সে অর্থও শেষ হয়ে গেছে। ১২টি কেমোথেরাপীর বাকিগুলো টাকার অভাবে দিতে পারছেন না।
মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বিছানায় শুয়ে নীরবে কেঁদে চলেছেন মিঠুন। সন্তানদের জন্য তিনি বাঁচতে চান। এ অবস্থায় তার চিকিৎসার জন্য সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সরকারের কাছে সহায়তা কামনা করেছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।