ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় পাওনা টাকার জন্য শফিকুল ইসলাম নামে এক শিক্ষকের গোয়ালঘর থেকে দু’টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় ওই শিক্ষক বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ফকিরপাড়া গ্রামের ইসমাইল হোসেন ছেলে শফিকুল ইসলাম ধুনট শহরের অফিসারপাড়ার ভাড়া বাসায় থাকেন। তার মা সুফিয়া বেওয়া ফকিরপাড়া গ্রামের বাড়িতে থাকেন। শেরপুর উপজেলার শেরুয়া বটতলা এলাকার শফিকুল ইসলাম ওরফে নাদের আলীর সাথে শফিকুল ইসলামের বোন রোকেয়া খাতুনের বিয়ে হয়।
নাদের আলী ব্যবসায়ীক প্রয়োজনে একই গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মুনজু মিয়ার কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা ধার নেন। কিন্তু ব্যবসায় লোকসান হওয়ায় মুনজু মিয়ার টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন নাদের আলী। এ অবস্থায় নাদের আলী জীবিকার তাগিদে স্ত্রীকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় অবস্থান করেন। ফলে মুনজু মিয়া পাওনা টাকার জন্য নাদের আলীর আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগ করে কোন কাজ হয়নি।
এ কারণে ক্ষুব্ধ হয়ে মুনজু মিয়া ও তার লোকজন গতকাল শনিবার সন্ধ্যার দিকে নাদের আলীর শ্বশুর বাড়ির গোয়ালঘর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকা মূল্যের দু’টি গরু ট্রাকে তুলে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় গরুর মালিক শফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে মুনজু মিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ বিষয়ে মুনজু মিয়া জানান, পাওনা টাকার জন্য নাদের আলীর শ্বশুর বাড়ি থেকে দু’টি গরু নিয়ে এসেছি। টাকা পরিশোধ করলে গরুগুলো ফেরত দেওয়া হবে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, পাওনা টাকার জন্য গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।