আর্থিক সংকটে হাট উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ বন্ধ
ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট পৌরসভার একমাত্র হাটে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়। আর ভারি বৃষ্টি হলে পানি জমে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতার। এতে হাটের ব্যবসায়ী, দোকানি ও ক্রেতারা ভোগান্তিতে পড়েন। অথচ প্রতি বছর পৌরসভার রাজস্ব খাতে মোটা অঙ্কের টাকা জমা হলেও দৃশ্যমান উনয়নের ছোঁয়া লাগেনি এই হাটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরে অবস্থিত ধুনট হাট। এটি প্রতিবছর পৌরসভা থেকে ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর প্রায় ৩০ লাখ টাকায় বার্ষিক ইজারা বন্দোবস্ত দেওয়া হয়েছে। সপ্তাহের শনি ও মঙ্গলবার ছাড়াও অন্যান্য দিনেও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত আশপাশের এলাকার লোকজন ও ক্রেতা-বিক্রেতার আগমনে হাট সরগরম হয়ে ওঠে। প্রতি হাটে লাখ লাখ টাকার লেনদেন হয়। কিন্তু প্রতিবছর হাটের ইজারা মূল্য ও টোলের হার বৃদ্ধি পেলেও তেমন কোনো উন্নয়ন না হলেও পৌরসভা থেকে হাটের পাশ দিয়ে ড্রেন নির্মাণ করা হয়, কিন্তু তা কোন কাজে আসছে না। কারণ হাটের সমতল জমিন থেকে ড্রেন অনেক উঁচু। এ কারণে হাটের পানি ড্রেনে নিষ্কাশন হতে পারে না। ফলে সামান্য বৃষ্টি হলে হাটের অলিগলিতে কোথাও গোড়ালি, আবার কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি জমে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। তখন হাটে বেচাকেনা বন্ধ হয়ে যায়। বিশেষ করে যারা মাটিতে চটে দোকান বিছিয়ে ব্যবসা করেন তাদের। এছাড়া হাটসেডের টিনের তৈরি ঘরগুলো সংস্কার অভাবে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে গত অর্থ বছরে পৌরসভার রাজস্ব আয় থেকে হাটের একাংশের সমতল জমিন উঁচু করার জন্য প্রায় ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। ঠিকাদার হাটের অর্ধেক অংশ মাটি ফেলে উঁচু করে ইটের সোলিং বিছানোর কাজ শুরু করেন। এ অবস্থায় পৌর তহবিলে অর্থ সংকট হওয়ায় হাটের উন্নয়ন কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরই মধ্যে পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলররা অপসারিত হওয়ার পর এই হাটের উন্নয়ন কাজ অনেকটাই অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ফলে পৌর নাগরিকের মাঝে চরম হতাশা বিরাজ করছে।
হাটের ব্যবসায়ীরা জানান, বহুদিন ধরে আমরা এই হাটে ব্যবসা করে আসছি। যেদিন সামান্য বৃষ্টি হয়, সেদিন হাটে হাঁটু পানি জমে। বৃষ্টির দিন বিক্রি খুব কম হয়। ফলে লোকসান গুণতে হয়। দীর্ঘদিনে হাটের তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ কারণে দূরের ক্রেতা-বিক্রেতারা হাট থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।
ধুনট পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী সাজিদী হক দৈনিক করতোয়াকে বলেন, পৌরসভার রাজস্ব আয় থেকে হাটের উন্নয়ন কাজ শুরু করা হয়েছে। কিন্তু আর্থিক সংকট ও প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন করে দরপত্র আহবানের মাধ্যমে অবশিষ্ট অংশের কাজ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।