ভিডিও

বগুড়ার মহাস্থানে পাইকারী সবজির মোকামে দাম বৃদ্ধি : একটু দূরে খুচরা বাজারে আরও বেশি

ক্রেতারা নাজেহাল

প্রকাশিত: অক্টোবর ০৪, ২০২৪, ১০:২৮ রাত
আপডেট: অক্টোবর ০৪, ২০২৪, ১০:২৮ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : টানা বৃষ্টির পর বগুড়া মোকামগুলোতে সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মোকামগুলোতে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে। চাষিদের দাবি টানা বৃষ্টিতে সবজির খেত নষ্ট হওয়ায় উৎপাদন কমায় দাম একটু বেড়েছে।

উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহৎ সবজির মোকাম হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে বগুড়ার ঐতিহাসিক মহাস্থান সবজির পাইকারি হাট। সবজি পাইকাররা সারা বছরই এ হাট থেকে সবজি কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকেন। কিছু দিন আগেও যে সবজির বাজার ছিল ক্রেতাদের নাগালে, সেই সবজির বাজারে এখন আগুন।

আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সকালে বগুড়ার মহাস্থান পাইকারি সবজির বাজারে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সব ধরনের সবজিই বিক্রি হচ্ছে চড়ামূল্যে। আকষ্মিক বাজার চড়া হওয়ায় অবাক হয়েছেন পাইকাররা সবজির বাজারে দাম বাড়ার কারণ হিসেবে জয়পুরহাট পুনট ভূগোইল থেকে মহাস্থান হাটে বেগুন বিক্রি করতে আসা কৃষক আনোয়ার হোসেন আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) জানান, টানা বৃষ্টির কারণে সবজির উৎপাদন কমে গেছে, গাছের গোড়ায় পানি আটকে গাছ পঁচন ধরে নষ্ট হচ্ছে, চাহিদার তুলনায় ফলন কম তাই দাম বেড়েছে।

মহাস্থান হাটে মূলা বিক্রি করতে আসা শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়নের করতকোলা গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম জনান, ১ বিঘা জমিতে মূলা চাষ করেছেন। তিনি ১ মণ মূলা কয়েক দিন আগে ১২শ টাকায় বিক্রি করেছেন। সেই মূলা আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিক্রি করেছেন ১৮শ টাকা মণ। সপ্তাহের ব্যবধানে মহাস্থান হাটে পাইকারি মূলা মান ভেদে প্রতিমণে দাম বেড়েছে ৫শ’ থেকে ৬শ’ টাকা।

এদিকে আগাম জাতের ফুল-কপিতে ভরে গেছে মহাস্থান হাট। তবে দাম আকাশ ছোঁয়া। আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) প্রতিমণ ফুলকপি বিক্রি হয়েছে ৪ হাজার টাকায়। আলতাবাদ বেগুন আজ শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিক্রি হয়েছে ২৮শ টাকা মণ। এছাড়াও করলা ২২শ’ থেকে ২৪ শ, এবং শসা ২ হাজার টাকা টাকা মণ বিক্রি হয়েছে।

অন্য সবজির মধ্যে কাঁচা মরিচ ২৬০ টাকা কেজি, ধনেপাতা ১৭০ টাকা, করলা ৬০ টাকা কেজি,  কাঁকরোল ৬৫ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা,  চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৭০ টাকা, কচু লতি ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি পিস মাচা লাউ ৫০ টাকায়, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, বাঁধাকপি ৬০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।  এছাড়া প্রতি হালি কাঁচা কলা ৪০ টাকা, লেবু হালি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২০  টাকা করে।

এ এলাকার কৃষকেরা বর্তমান সবজিতে ভালো দাম পেয়ে আনন্দিত হলেও পাইকারী এবং খুচরা ক্রেতারা হতাশ। পাইকারী ক্রেতারা বলছেন তাদের বেশি দামে কিনে বেঁচতে কষ্ট হয়। বেশি দামে কিনে ঢাকা চট্রগ্রাম নিয়ে যেতে আরও খরচ হয়। তাই বাধ্য হয়ে তাদেরকে বেশি দামে বেচতে হয়।

এদিকে স্থানীয় সাংবাদিক গোলাম রব্বানী সিপন দৈনিক করতোয়া‘কে জানান, মহাস্থান হাটে পাইকারী যে দামে বেগুন, কপি, মূলা বিক্রি হয় খুচরা বাজারে তার চেয়ে কম করে হলেও প্রতিকেজিতে ২০ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজার নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ক্রেতারাদের আরও বেশি সমস্যায় পড়তে হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS