আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি : আদমদীঘির বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপি অফিসে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হুমকিসহ ভয়ভীতি দেয়া সংক্রান্ত মামলায় পুলিশ মাসুদুর রহমান মাসুদ সাহা নামে যুবলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। সে আদমদীঘি উপজেলা সদরের তালসন গ্রামের মৃত মোজাম্মেল হক সাহার ছেলে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সুত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টায় আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রায় ২৫০ জন নেতাকর্মী ককটেল, পেট্রোল শাবল, লাঠি ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে উস্কানিমূলক স্লোগান দিয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএনপির অফিসের সামনে এসে ককটেল নিক্ষেপ ও বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক সৃষ্টি করে।
এসময় বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা নিরাপদ দূরন্তে চলে গেলে হামলাকারীরা বিএনপি অফিসে প্রবেশ করে দরজা জানালা ভাংচুর, চেয়ার, কাঠের আলমারী, ফ্যানসহ অন্যান্য আসবাবপত্র ও শহীদ জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিলা ও তারেক রহমানের ছবি ঘর থেকে বের করে তাতে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলে।
এ ঘটনায় গত ২৫ আগস্ট রাতে আদমদীঘি উপজেলা শ্রমিকদলের সভাপতি কুসুম্বী গ্রামের মিজানুর রহমান বাদি হয়ে বগুড়া-৩ (আদমদীঘি-দুপচাঁচিয়া) আসনের সাবেক এমপি, তার বাবা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম খান রাজু, তার মা জেলা পরিষদ সদস্য ও মহিলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মনজু আরা বেগম, ইউপি চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানসহ ১২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫০ জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান মাসুদকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।