স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার শেরপুরে আশরাফ মুকুল হত্যার আলামত নষ্টের অভিযোগ ও দ্রুত বিচার চেয়ে আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত মুকুলের বড় ভাই রবিউল করিম চাঁন মাস্টার। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৫ জুন ভোরে তার ছোট ভাই আশরাফ মুকুল সরকারের মরদেহ তাদের বাড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখে খবর পেয়ে তিনি দেখতে যান।
তিনি মরদেহে হালকা আঘাতের চিহ্ন দেখেন এবং মুকুলের ব্যক্তিগত মোবাইল ও পায়ের জুতা তখন পাওয়া যায়নি বলে জানান। এসব কারণে মৃত্যুটি রহস্যজনক বলে মনে করেন তিনি। পুলিশকে খবর দিলে শেরপুর থানার এসআই হোসেন আলী লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করেন।
সুরতহাল প্রতিবেদনে তাকে সই করতে বললে তিনি সাদা প্রতিবেদনে সই করতে আপত্তি জানালেও পুলিশের কথায় সই করেন। তিনি হত্যা মামলা করতে চাইলেও ওসি ও এসআই হোসেন আলী তাকে মামলা করতে নিষেধ করেন। কিন্তু এখনও ওই ঘটনার তদন্তে কোন অগ্রগতি দেখা যায়নি।
বারাবার আশ্বাসের পরও, ভিকটিমের মোবাইল ও জুতা উদ্ধারের কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। পরে গত ১০ জুলাই তিনি আদালতে সন্দেহভাজন আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করলে আদালত তদন্তভার পিবিআইকে প্রদান করে। পিবিআইয়ের তদন্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসা পর্যন্ত আপেক্ষ করতে বলেন।
পরে তিনি থানায় যোগাযোগ করলে মামলার আইও এসআই হোসেন আলী আবারও আশ্বাস দেন যে, ১০ দিনের মধ্যেই প্রতিবেদন পেয়ে যাবেন। অথচ ৯৫ দিন পর তিনি মেডিকেলের ফরেন্সিক বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, ভিসারা রাজশাহী সিআইডি ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানই হয়নি। অবশেষে, ২২ সেপ্টেম্বর এটি রাজশাহী পাঠানো হয়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, থানা ও তদন্তকারী কর্মকর্তারা সন্দেহভাজন আসামিদের সাথে মিলিত হয়ে এই হত্যাকান্ডে প্রমান নষ্ঠের চেষ্টা করছেন। তারা তাকে সুরতহাল প্রতিবেদন দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং সাদা কাগজে তার সই নিয়ে সুরুতহাল প্রতিবেদন তৈরির কথা বলেছেন।
তারা জানতে পেরেছেন সন্দেহভাজন আসামিরা গোপনে বিদেশে পালানোর চেষ্টা করছেন, যা পুলিশি বিলম্বের মাধ্যমে তাদের সাহায্য করছেন বলে অভিযোগ করেন। এ সময় তিনি দ্রুত এই মামলার সঠিক তদন্ত সম্পন্ন ও অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।