সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া সারিয়াকান্দি উপজেলার কুতুবপুর, কর্ণিবাড়ী এবং সদর ইউনিয়নের বাঙালি নদীর ৩টি পয়েন্টে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন কবলিত এলাকায় দ্রুত কাজ শুরু করার আশ্বাস দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের দেবডাঙ্গা গ্রামের ঈদগাহ’র উত্তর পাশে বাঙালি নদীর তীর সংরক্ষণ কাজের ২০ মিটার এলাকায় ধসের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে গত কয়েকমাস আগে তীর সংরক্ষণ কাজ সমাপ্ত করা সিসি ব্লকগুলো বাঙালি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন হুমকিতে রয়েছে এ গ্রামের আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রজিনা বেগমসহ ১৫০ টি পরিবারের লোকজন। রজিনা বেগম জানান, গত সোমবার রাত ৩ টার দিকে শব্দ পেয়ে বাড়ির বাইরে এসে দেখেন তার বাড়ির একাংশ গাছপালাসহ বাঙালি নদীতে বিলীন হয়েছে। এখন তার পুরোবাড়ি যেকোনও সময় বাঙালি নদীতে বিলীন হতে পারে আশঙ্কা করছেন। এরআগেও বেশ কয়েকবার যমুনা নদী ভাঙনের শিকার হয়ে ভিটেমাটি হারিয়েছেন। সর্বশেষ ওয়ার্ল্ড ভিশনের কাজল প্রকল্পের আওতায় ২ শতাংশ জমি প্রাপ্ত হয়ে তিনি দেবডাঙ্গা গ্রামের বাঙালি নদীর তীরে বসবাস শুরু করেন। তার শেষ সম্বলটুকুও এখন বাঙালি নদীতে বিলীন হতে চলেছে।
এদিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামে প্রায় ১ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাঙালি নদীর ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সেখানে প্রায় ৫০০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়েছে। হুমকিতে রয়েছে চান্দিনা নোয়ারপাড়া এবং পারতিত পরল গ্রামের বিশালাকার ফসলি জমি।
এদিকে উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের মাছিরপাড়া গ্রামের ২০০ মিটার এলাকাজুড়ে বাঙালি নদীর ভাঙন শুরু হয়েছে। এতে গত ২ অক্টোবর থেকে চরমাছির পাড়া গ্রামের ১৫০ মিটার এলাকা ভেঙে গাছপালা ও ফসলি জমি নদী গর্ভে চলে গেছে। হুমকির মুখে পরেছে চরমাছির পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মসজিদ, মাদ্রাসা, কৃষি জমিসহ বিভিন্ন স্থাপনা। হঠাৎ বাঙালি নদী ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছেন চরমাছির পাড়া, দেবডাঙ্গা এবং চান্দিনা নোয়ারপাড়া গ্রামের মানুষ।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, ঘটনাস্থল সরেজমিন পরিদর্শন করে ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষার্থে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।