ডিসি বললেন অফিস রাজশাহী যাবে না
স্টাফ রিপোর্টার : মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক কার্যালয় (ফরম অফিস) রাজশাহীতে স্থানান্তরের চক্রান্ত করা হচ্ছে। আঞ্চলিক কার্যালয়টি স্থানান্তরের সিদ্ধান্তে হতবাক এই অঞ্চলের সুবিধাভোগীরা।
স্বাধীনতার পর থেকে বগুড়াস্থ এই সরকারি দপ্তরটি উত্তরাঞ্চলের সকল সরকারি অফিসের ফরমসহ অন্যান্য কাগজপত্র সরবরাহ করে যাচ্ছে।
সম্প্রতি এই গুরুত্বপূর্ণ অফিসটি রাজশাহীতে নেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেন সাবেক রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন। তিনি মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর‘র তৎকালীন মহাপরিচালক মো. ইয়াসীনের সাথে দেন-দরবার করে আঞ্চলিক অফিসটি রাজশাহীতে স্থানান্তরের সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন।
মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের গত আগস্ট মাসের সমন্বয় সভায় আলোচনায়, বিভাগীয় সদর দপ্তরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বরে এ অধিদপ্তরের আঞ্চলিক অফিস সমুহ স্থানান্তরের লক্ষ্যে জায়গা চেয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে পত্র প্রেরণের জন্য সভায় বলা হয়। ২১ আগস্টের ওই সভায় জানান হয় ২/১ দিনের মধ্যে আঞ্চলিক অফিস হতে প্রস্তাব পাওয়া যাবে। আঞ্চলিক অফিস থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর মন্ত্রনালয়ে পত্র প্রেরণ করা হবে। তা ছাড়া বগুড়া আঞ্চলিক অফিস বগুড়া হতে রাজশাহী শহরের স্থানান্তরের কার্যক্রম আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে সম্পন্নের ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
এদিকে বগুড়ায় মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তরাধীন বগুড়া আঞ্চলিক কার্যালয়টি বগুড়া হতে রাজশাহীতে স্থানান্তর না করতে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সিনিয়র সচিব বরাবরে আবেদনও করেন। ৯ সেপ্টেম্বরের ওই আবেদনে বলা হয় রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য খায়রুজ্জামান লিটন আঞ্চলিক কার্যালয় স্থানান্তর করার জন্য চেষ্টা চালিয়েছেন। ওই আবেদনে অফিসটি স্থানান্তর না করতে আহবান জানান হয়।
মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক কার্যালয়টির সুবিধাভোগী সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা জানান, আঞ্চলিক অফিসটি বগুড়ায় হওয়ায় এই অঞ্চলের মানুষ সুবিধা ভোগ করছে। অফিসটি রাজশাহী স্থানান্তর হলে সকলের সমস্যা হবে। বগুড়া হচ্ছে রাজশাহী বিভাগের কেন্দ্রে অবস্থিত তাই অফিসটি বগুড়ায় থাকলে সব জেলার জন্য সুবিধা হবে।
বগুড়া কাজী সমিতির সভাপতি কাজী আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, সরকরি অফিসের বাইরেও অনেক বেরকারি অফিসের বিভিন্ন ফরম, ভলিয়ম বই নেওয়ার জন্য ও মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক অফিসে যেতে হয়। অফিসটি বগুড়া হওয়ায় আশে পাশের জেলার সুবিধাভোগীরা কম খরচে আসতে পারে। রাজশাহী চলে গেলে তাদের খরচ বাড়বে। তিনি জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানান।
বিজি প্রেসের ডিডি আজিজুন নাহার জানান, এ বিষয়টি নিয়ে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের সাথে কথা হয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে লিখিত পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বগুড়ার জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা দৈনিক করতোয়াকে জানান, বিষয়টি তিনি জেনেছেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধিদপ্তর বগুড়ার আঞ্চলিক অফিসটি বগুড়া যাতে থাকে তার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বগুড়া থেকে অফিসটি আর যাবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।