ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : ঘোড়াঘাটে খড়ের দাম বাড়াই খুশি কৃষকরা। এক মুঠো করে আঁটি বেঁধে দশটি আঁটি একত্র করে ৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ঘোড়াঘাটে এখন গো-খাদ্য হিসেবে কাঁচা খড়ের চাহিদা অনেক। এ কারণে আগাম জাতের আমন ধান কেটে কৃষকরা দ্রুত ধান ছাড়িয়ে কাঁচা খড় বাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। আর খড় বিক্রি করেই আবাদের খরচের প্রায় এক চতুর্থাংশ টাকা উঠাতে পাচ্ছেন কৃষকরা।
কয়েক বছর আগেও জমির মালিকরা এসব খড় মানুষকে বিনামূল্যে দিয়ে দিতেন। তবে এখন সময় বদলে গেছে। খড়ও হয়েছে মূল্যবান বস্তু। বর্ষা মৌসুমে দেশে উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলে বন্যার কারনে মাঠে ঘাস না থাকায় এখন খড়ের চাহিদা ব্যাপক। ফলে ধান কাটা শেষ হতে কী না হতেই কৃষকদের মধ্যে খড় বিক্রির ধুম পড়ে যায়।
উপজেলার পাটশাও গ্রামের কৃষক আবু হানিফ বলেন, কয়েক বছর আগেও আমরা খড় মানুষকে বিনা মূল্যে দিয়ে দিতাম। এখন আর কেউ চাইলে দেই না। ধান দিতে রাজি আছি কিন্তু খড় দিতে রাজি নই। খড়ের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরা ধান চাষে লাভবান হচ্ছি।
উপজেলার মরিচা গ্রামের কৃষক আবুল হাসান বলেন, এ বছর ৩ বিঘা জমি থেকে ১৫’শ খড়ের আঁটি পেয়েছি। নিজের বাড়ির গরুর জন্য কিছু রেখে বাকি প্রতি এক মুঠো আঁটি ৩ টাকায় বিক্রি করছি। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ রফিকুজ্জামান জানান, আমন ধান কৃষকের ঘরে উঠতে আরও প্রায় দেড় মাস সময় লাগবে। তাই এলাকায় গো-খাদ্য হিসেবে খড়সহ ঘাসের অভাব দেখা দিয়েছে।
আর আগাম আমন ধান তোলা এখন শুরু হয়ে গেছে। আগাম জাতের ধান চাষ করার ফলে গরু ছাগলের ঘাষের চাহিদা পূরণ করছে। তিনি আরও জানান, আগাম জাতের ধান জুলাই মাসের ১৫ তারিখের পরেই লাগানো হয়ে থাকে এবং ১১৫ দিনের মধ্যেই ধান কাটা যায়।
আর মূল আমন ধান উঠতে সময় লাগে ১৪০ থেকে ১৫০ দিন। কৃষকরা আগাম জাতের ধান কেটে ওই জমিতে সঠিক সময়ে রবি শস্য ফলিয়ে লাভবান হবেন।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, এ উপজেলায় ১১ হাজার ৫ শ’ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৫থেকে ২০ভাগ আগাম জাতের ধান কাটা হয়েছে। গো-খাদ্য হিসেবে এখন খড়ের আঁটির চাহিদা আছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।