চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি : অনুকূল আবহাওয়া ও বিগত বছরে আশানুরুপ লাভ হওয়ায় চলতি বছর দিনাজপুরের খানসামায় বৃদ্ধি পেয়েছে পপকর্ন চাষ। এতে কৃষকরা রঙিন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
খানসামা উপজেলায় ধান, পাট, সরিষা, আলু ও ভুট্টার পাশাপাশি অধিক লাভজনক পপকর্ন চাষ হচ্ছে। পপকর্ন অন্যান্য ফসলের তুলনায় স্বল্প খরচে ভালো উৎপাদন হয়। স্থানীয়ভাবে সহজলভ্য, সরাসরি পাইকারি বাজার সৃষ্টি ও লাভজনক হওয়ায় পপকর্ন চাষে ঝুঁকে পড়েছেন চাষিরা।
এছাড়াও নিয়মিত কৃষিবিভাগ থেকে উদ্বুদ্ধকরণ, পরামর্শ প্রদান, সরকারি সহায়তার কারণে পপকর্ন চাষে কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হয়েই চলেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় প্রতিবছর পপকর্ন চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে ১ হাজার ৫২০ হেক্টর জমিতে পপকর্ন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ১ হাজার ৬৬০ হেক্টর জমি।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা গোপাল রায় বলেন, পুরো উপজেলার মধ্যে গোয়ালডিহি ইউনিয়নে শতকরা ৭০ ভাগ ও বাকি ৫টি ইউনিয়নে ৩০ ভাগ পপকর্ন চাষ হয়। চাষিদের পপকর্নের ভালো ফলন পেতে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা হাবিবা আক্তার বলেন, দিনাজপুরের শস্য ভান্ডারখ্যাত এ উপজেলা। এ উপজেলার কৃষক পপকর্ন চাষে বেশ আগ্রহী। কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে চাষিদের পপকর্ন চাষে উদ্বুদ্ধকরণ সহ-সার্বিক পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।