রাজশাহী প্রতিনিধি : মোবাইল অ্যাপ ইউএস অ্যাগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে প্রতারণা করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় এবার নাটোরের আদালতে মামলা হয়েছে। খন্দকার মশিউর রহমান (৩৯) নামের প্রতারিত এক ব্যক্তি আজ বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) নাটোর সদর আমলি আদালতে এ মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় মোট ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলো- প্রতারকচক্রের হোতা ইউএস অ্যাগ্রিমেন্টের বাংলাদেশ প্রধান সজিব কুমার ভৌমিক ওরফে মাহাদি হাসান (৩৩), রাজশাহী বিভাগীয় প্রধান ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগ (৩৮), তার স্ত্রী ও বিভাগীয় ব্যবস্থাপক ফাতেমা তুজ জহুরা ওরফে মিলি (৩২) এবং রাজশাহী জেলা এজেন্ট মিঠুন মণ্ডল (৩৬)।
মামলার বাদির আইনজীবী মারুফ হোসেন জানান, আদালত বাদির জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। পরে মামলাটি এফআইআর হিসেবে রেকর্ড করার জন্য নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ এফআইআর রেকর্ড করে আসামি গ্রেফতার করবে।
মামলার বাদি খন্দকার মশিউর রহমানের বাড়ি নাটোর সদর উপজেলার লালবাজার এলাকায়। তিনি মামলার আরজিতে বলেছেন, এই অ্যাপে বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ১১ হাজার ২শ’ টাকা মুনাফা রেমিটেন্স আকারে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আসামিরা তাকে বিনিয়োগ করান। ২০২২ সালের জুন মাসে তিনি ওয়াহেদুজ্জামান সোহাগকে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার চেক দেন।
পরবর্তীতে আসামিরা আবারও বাদির অফিসে গিয়ে তাকে প্রলোভন দেখান এবং আরও ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করান। এছাড়া মামলার আটজন সাক্ষী আরও ১ কোটি ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। তারা দু’একমাস মুনাফা পান। এরপর আর পাননি। আসল টাকা ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও তারা তা পাননি।
এ ধরনের লোভনীয় প্রলোভন দিয়ে এই অ্যাপে রাজশাহীর শতাধিক ব্যক্তিকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করানো হয়। সারাদেশে এই অ্যাপে প্রায় ২ হাজার মানুষ বিনিয়োগ করে অন্তত ৩শ’কোটি টাকা খুইয়েছেন। এই প্রতারণার বিষয়টি সামনে এলে গত ১৭ জানুয়ারি রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় প্রথম একটি মামলা হয়।
এরপর ২৩ জানুয়ারি গোদাগাড়ী থানায় আরেকটি মামলা হয়। এছাড়া রাজশাহীর আদালতে আরও সাতটি মামলা হয়। নাটোরের মামলাটি নিয়ে এই প্রতারণার ঘটনায় এ পর্যন্ত মোট ১০টি মামলা হলো।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।