মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি : মানিকগঞ্জে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে একমাত্র ছেলেকে হত্যার চেষ্টা করেছেন বাবা। আগুনে দগ্ধ ৯ বছরের শিশু তুহিনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ছেলের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার সময় দগ্ধ হয়েছেন বাবা মহিন মিয়াও (৪০)। পুলিশ বাবাকে আটক করে চিকিৎসা দিচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে সদর উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের ভাড়ারিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহ ও হতশা থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী তুহিন সকালে স্কুলে যাওয়ার প্রস্ততি নিচ্ছিল। এসময় দিনমজুর বাবা মহিন মিয়া আকষ্মিক তার শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসময় শিশুটি দৌড়ে প্রতিবেশির বাড়িতে গেলে তারা পানি ঢেলে আগুন নেভান। ততক্ষণে তার মুখমণ্ডলসহ শরীরের অন্তত্ব ৬০ ভাগ পুড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা মহিন মিয়াকে আটক করে পুলিশে দেন। দগ্ধ তুহিনকে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়।
জানা গেছে, মহিন মিয়ার স্ত্রী শিউলি বেগম বছর খানেক আগে সৌদি আরবে যান। সেখানে থাকা অবস্থায় অন্য এক ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক হয়। গত মাসে তিনি বাড়িতে এসে ওই ব্যক্তিকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে সংসারে টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিলে বাবা-ছেলের খুব কষ্টে দিন কাটছিলো। আটকের পর মহিন স্থানীয়দের জানান ছেলেকে পুড়িয়ে মারার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যা করবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিবেশিদের কয়েকজন জানান, মহিন মিয়া একজন মাদকসেবী। প্রায়ই তার শিশু ছেলেকে মারধর করতো।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। দগ্ধ ছেলেটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত মহিন মিয়াও দগ্ধ হয়েছেন। তাকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।