বেলকুচি (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: আজ অমর একুশে ফেব্রুয়ারি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের স্মরণে পালিত হচ্ছে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
শহিদ মিনারের বেদিতে ফুল দিতে ঢল নেমেছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের। তবে বেলকুচি উপজেলার দাখিল থেকে ফাজিল পর্যায়ের ৯টি মাদ্রাসার কোনটিতেই নেই শহিদ মিনার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এসব প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণই হয়নি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম গোলাম রেজা এবং উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সুজাব আলী জানান, উপজেলার ৩২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টিতে এবং ১৫৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রায় ৫০টি বিদ্যালয়ে নেই শহিদ মিনার। তবে এসকল প্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নির্মাণের জন্য প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নির্দেশ দিয়ে পরিচালনা কমিটির ব্যবস্থাপনায় দ্রুত নির্মাণের কথা জানিয়েছেন তারা।
শিক্ষাবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী সাইদুর রহমান বলেন, ১৯৫২ সালে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা করার দাবিতে যারা শহিদ হয়েছিলেন তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শহিদ মিনারের প্রয়োজন। বর্তমান প্রজন্মকে ২১ ফেব্রুয়ারি কেন পালন করা হয় সেসব বিষয়ে জানতে হবে। যেসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহিদ মিনার নেই, সেখানে শহিদ মিনার নির্মাণ জরুরি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফিয়া সুলতানা কেয়া বলেন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে শহিদ মিনার থাকা উচিত। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সমন্বয়ে এটি করতে হবে। শহিদ মিনার নির্মাণ করতে যদি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়, তাহলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা দেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।