ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : ধুনটের নিমগাছি ইউনিয়নের কয়েক গ্রামের দুই সহস্রাধিক মানুষ এনজিও’র ফাঁদে পড়ে হাজার হাজার টাকা খুইয়েছেন। প্রতারক চক্র সুদমুক্ত ঋণের ফাঁদ পেতে তাদের কাছ থেকে সঞ্চয় হিসেবে হাজার হাজার টাকা নিয়ে লাপাত্তা হয়ে গেছে।
সরেজমিন উপজেলার নিমগাছি, নান্দিয়ারপাড়া, শিয়ালীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম ঘুরে জানা যায়, এই চক্রের প্রতারনার শিকার হয়েছেন কুলসুম খাতুন, সাইদুর রহমান, মজনু মিয়া, সবুজ হোসেন, আলম, হেজরুল ইসলাম ও রুহুল আমিনের মতো দুই সহস্রাধিক মানুষ।
ভুক্তভোগীরা জানান, বহিরাগত ও স্থানীয় ৮-১০জন যুবক বাড়ি বাড়ি ঘুরে ১০০ টাকা মূল্যের একটি ফর্মের মাধ্যমে সদস্য করে। মাত্র ১০০ টাকা করে সঞ্চয়ের অনুকূলে সদস্যদের লাখ টাকা থেকে কোটি টাকা ঋণ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। সুধমুক্ত ঋণ নিয়ে সচ্ছলতা ফিরবে পরিবারে।
ঘুচবে অভাব নামক যন্ত্রণা। এমন কথা বলে গ্রামের সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে অহিংস গণঅভ্যূত্থান বাংলাদেশ নামের এনজিও’র মাঠকর্মীরা। স্থানীয়ভাবে এই এনজিও’র কোন কার্যালয় নেই। তারপরও সুধমুক্ত ঋণ নেওয়ার আশায় এসব মানুষ নিজেদের সঞ্চিত টাকা জমা করে মাঠকর্মীদের কাছে। প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে গ্রাহকের কাছ থেকে এভাবেই টাকা হাতিয়ে নিয়ে মাঠকর্মীরা লাপাত্তা হয়ে গেছে।
তবে এই এনজিও’র মাঠকর্মীদের একজন উপজেলার নিমগাছি ইউনিয়নের শিয়ালী গ্রামের বাসিন্দা রাজু আহম্মেদ। তিনি জানান, বগুড়া শহরের নাম পরিচয়হীন এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনি কয়েক হাজার সদস্য ফর্ম নিয়েছিলেন।
এসব ফর্ম দিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক সদস্য করেছেন। পরে বুঝতে পারেন এটি ভূয়া এনজিও। তাই গ্রাহকদের সঞ্চয়ের টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এ কাজটি করা তার ঠিক হয়নি বলে স্বীকার করেন।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈকত হাসান বলেন, এ ধরণের প্রতারণার কথা শুনেছি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।