ভিডিও

ধুনটে গ্রামে গ্রামে সুপেয় পানির সংকট, মানুষের চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: মার্চ ০১, ২০২৪, ০৯:৩১ রাত
আপডেট: মার্চ ০১, ২০২৪, ০৯:৩১ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : মালেকা ভানুর চেহারায় বয়সের ছাপ পড়েছে। শরীরে আগের মতো শক্তি নেই। এই বয়সেও প্রতিদিন কলসি নিয়ে যেতে হয় বাড়ি থেকে দূরের কৃষি মাঠে। সেখানে থাকা গভীর নলকূপ থেকে বিশুদ্ধ খাবার পানি সংগ্রহ করেন তিনি। অথচ তার বাড়িতেই হস্তচালিত নলকূপ আছে।

মালেকা ভানুর বাড়ির নলকূপের মতো বগুড়ার ধুনট উপজেলার তিন ইউনিয়নের ৭৫ শতাংশ নলকূপে এখন আর সুপেয় পানি পাওয়া যায় না। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় গরমের আগেই পানির তীব্র সংকটে পড়েছেন।

গ্রীষ্মের তাপদাহ বাড়ার সাথে সাথে এই সংকট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার মথুরাপুর, চৌকিবাড়ি ও গোপালনগর ইউনিয়নের কমপক্ষে ৬০ গ্রামে নলকূপ থেকে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।

পানির চাহিদা মেটাতে এলাকাবাসীকে কৃষি জমিতে স্থাপিত গভীর নলকূপের পানি সংগ্রহ করতে ধূরদূরান্তে ছুটতে হচ্ছে। আগে ভূগর্ভের ৫০ থেকে ৬০ ফুট গভীরতা থেকেই পাওয়া যেত পানি। কিন্ত প্রায় তিন দশক ধরে ক্রমেই পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। এসব এলাকার অধিকাংশ সাধারণ পাম্প ও নলকূপে পানি উঠছে না।

উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হাসান আহম্মেদ জেমস মল্লিক বলেন, প্রতিবছর শুস্ক মৌসুমে সাধারণত পানির স্তর ২০ ফুটের নিচে নামলে হস্তচালিত নলকূপ থেকে পানি ওঠে না। যদি তা ২২ থেকে ২৩ ফুটের নিচে নেমে যায়, তাহলে বাসাবাড়িতে মোটর (সাধারণ পাম্প) দিয়েও পানি তোলা অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে বিশাল এই জনগোষ্ঠী সুপেয় ও গৃহস্থালির কাজে পানির সংকটে ভুগছে। মসজিদের মুসল্লিরা বিপাকে পড়েছেন। এই দূর্ভোগ লাঘবে সরকারি ভাবে উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।

ধুনট উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রোজিনা আকতার বলেন, দক্ষিনের তিন ইউনিয়নে পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। বেশির ভাগ নলকূপে চাহিদা অনুযায়ী পানি উঠছে না। তবে এলাকাভিত্তিতে এটা কমবেশি আছে। প্রচন্ড দাবদাহ, পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়া এবং জলাশয় গুলো ভরাট হওয়ায় এই সমস্যা প্রকট হয়েছে। পানির সমস্যা সমাধানে উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS