ভিডিও

সোনাতলায় গরু-ছাগল পালন করে ৫ শতাধিক মানুষের ভাগ্যবদল

প্রকাশিত: মার্চ ০১, ২০২৪, ১০:৩৭ রাত
আপডেট: মার্চ ০১, ২০২৪, ১০:৩৭ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

বদিউদ-জ্জামান মুকুল, সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার সোনাতলার ৯টি চরে বসবাসকারি ৫ শতাধিক দরিদ্র পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৮ বছর আগে চরজীবিকায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গরু-ছাগল বিতরণ করা হয়। সেই গরু-ছাগল পালন করে স্বাবলম্বী এখন অনেক পরিবার।

উপজেলার তেকানী চুকাইনগর ও পাকুল্লা ইউনিয়নের ৯টি চরে বসবাস করেন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার মানুষ। যাদের অধিকাংশ কৃষক ও শ্রমিক।গরু-ছাগল পালনের পাশাপাশি ধান, মরিচ, গম, কালাই, ভুট্টা খেরাচি, মিষ্টি আলু, পাট উৎপন্ন করে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছে ওই ৯টি চরের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা।

খাটিয়ামারি চরের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, গরু, ছাগল, হাঁস-মুরগী পালন করে ৪ সদস্যের সংসার চলে । 
খাটিয়ামারি চরের বাসিন্দা শারমিন বেগম বলেন, ২০১৯ সালে স্থানীয় পাকুল্লা ইউপি চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্ত চরজীবিকায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে চরাঞ্চলের পাঁচ শতাধিক মানুষের মাঝে গরু ছাগল বিতরণ করেন। সেই সুবাদে তিনি একটি গরু অনুদান পান। সেই একটি গরু থেকে এখন তার  ৫টি গরু। প্রতিদিন ২০ কেজি দুধ ও হাস-মুরগির ডিম বিক্রি করে সুখের নাগাল পেয়েছেন।


খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, ওই পাকুল্লা ও তেকানিচুকাইনগর ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধিক গরিব মানুষকে একই প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে গরু ছাগল পালনের জন্য অনুদান দেওয়া হয়। তারা গরু ছাগল পালন করে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে। খাটিয়ামাটি চরের বাসিন্দা হেনা বেগম শারমিন বেগম, সেলিনা বেগম, সাহিদা বেগম বলেন, তারা সাংসারিক কাজের ফাঁকে ফাঁকে কুটির শিল্পের কাজ করাসহ গরু দেখভাল করে সংসারে  অর্থ যোগান দিয়ে চলেছেন।


এ ব্যাপারে জুলফিকার রহমান শান্ত বলেন, চরাঞ্চলবাসীর জীবন যাত্রার মান বাড়াতে ওই প্রকল্পের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করতে গরু ছাগল বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি তারা বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপন্ন করে ভাল আছেন। 
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাবেয়া আসফা সায়মা বলেন, ওই ৯টি চর দুর্গম এলাকা। তাদের জীবন যাত্রার মান বাড়াতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আমরা সরকারের সেই উদ্দেশ্যকে বাস্তবায়ন করতে রুট লেভেল পর্যন্ত চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি আশা করেন খুব অল্প সময়ের মধ্যে চরাঞ্চলে বিদ্যুতের আলো  পৌছে যাবে।

এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান বলেন, প্রয়াত সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান চরের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের জন্য চর জীবিকায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে চরাঞ্চলে নতুন নতুন রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নের পাশাপাশি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS