সরকারি নিয়ম উপেক্ষা
সোনাতলা (বগুড়া) প্রতিনিধি : সোনাতলায় সরকারি নিয়ম নীতি উপেক্ষা করে ৪২টি কেজি স্কুলে দীর্ঘদিন যাবত চলছে ছুটির দিনে পাঠদান। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সতর্ক করে নোটিশ জারি করলেও তা আজও কার্যকর হয়নি।
প্রায় দেড় বছর আগে সরকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি একদিন থেকে বাড়িয়ে দুই দিন ঘোষণা করলেও তা মানছে না উপজেলার ৪২টি কেজি স্কুলের কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার (২ মার্চ) সরে জমিনে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘুরে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
ওই উপজেলার উত্তর কালাইহাটা প্রতিভা আদর্শ শিশু নিকেতনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতিষ্ঠানের প্লে থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৭ শতাধিক শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। বন্ধের দিন সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের পাঠদান চালু রাখতে দেখা গেছে।
এ ছাড়াও তেকানি চুকাইনগর ফ্লাক্স ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন স্কুলের ৩শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২১০ জন উপস্থিত ছিল। এ ছাড়াও হরিখালি মাতৃছায়া একাডেমি স্কুলে ২শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। হরিখালি গোল্ডেন স্টার স্কুলে প্রায় ২শ’ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮৫ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল। পূর্ব তেকানি কাচারি বাজার সংলগ্ন এমএম পাবলিক স্কুলে গিয়ে ছুটির দিন পাঠদান চালু রাখতে দেখা গেছে।
একই চিত্র ছিল উপজেলার অন্যান্য কেজি স্কুলগুলোতেও। এ বিষয়ে হরিখালি প্রিপারেটরি স্কুলের পরিচালক সাজেদুর রহমান জুয়েল বলেন, ছুটির দিনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছে। তবে উপজেলার সব কটি প্রতিষ্ঠানে পাঠদান চালু রাখায় আমরা বাধ্য হয়েছি।
উত্তর কালাইহাটা প্রতিভা আদর্শ শিশু নিকেতনের পরিচালক হানিফ উদ্দিন বলেন, বন্ধের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ রাখতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের কর্তৃপক্ষ নির্দেশনা দিয়েছেন। যেহেতু আমরা অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রতি মাসে নির্ধারিত পরিমাণে অর্থ নিয়ে থাকি, তাই বন্ধের দিনেও আমরা পাঠ দান চালু রাখি।
এ বিষয়ে হরিখালি গোল্ডেন স্টার কেজি স্কুলের প্রতিষ্ঠা পরিচালক মো: জহুরুল ইসলাম বলেন, শুধু আমার প্রতিষ্ঠান নয়, উপজেলার ৪২টি কেজি স্কুলে বন্ধের দিন পাঠদান চালু রয়েছে। ফ্লাক্স ফ্লাওয়ার কিন্ডার গার্টেন কেজি স্কুলের শিক্ষকরা বলেন, তাদের এলাকায় ৫/৬টি এ ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সকল প্রতিষ্ঠানে বন্ধের দিন পাঠ চলে, তাই আমরাও আমাদের প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছি।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: নজমুল হক বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী বন্ধের দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম কোনো বিধিসম্মত নয়। আমরা ইতিপূর্বে এ সকল প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের কাছে ছুটির দিন স্কুল বন্ধের রাখতে নির্দেশনা দিয়েছি। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এনায়েতুর রশিদ বলেন, প্রায় দেড় বছর পূর্বে কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের শনিবারে পাঠদান বন্ধ রাখতে নোটিশ দেয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।