পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও পৌরসভা এলাকায় কৃষকদের বসতবাড়ির অনাবাদি জমিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আওতায় গড়ে উঠছে পারিবারিক পুষ্টিবাগান। প্রতিবছরই এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে গোটা উপজেলায় পুষ্টিবাগানের সংখ্যা রয়েছে ১১২০টি।
পীরগঞ্জ কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনার আওতায় ৫১২টি, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ২৭টি, ২০২১-২০২২ অর্থবছরে ৪০৪টি, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে ৪৯৪টি, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১৯৫টিসহ মোট ১১২০টি পারিপারিক পুষ্টিবাগান রয়েছে।
উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নে পারিপারিক পুষ্টিবাগানের সংখ্যা অন্যান্য ইউনিয়নের তুলনায় অনেক বেশি। ওই ইউনিয়নে প্রায় অর্ধশতাধিক পারিবারিক পুষ্টিবাগান রয়েছে।
রায়পুর ইউনিয়নের দ্বাড়িকাপাড়া গ্রামের সবজাল হোসেন, হানিফ মিয়া, এনামুল হক, শরীফ উদ্দিন, শাহজাহান আলী, আতাউর রহমান, শ্রী নগেন চন্দ্র, শফিকুল ইসলাম, এমিলি বেগম, মোনসেফা বেগম জানান, বসতবাড়ি সংলগ্ন অনাবাদি জমি ১ থেকে দেড় শতকের মধ্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শ ও দিকনির্দেশনায় পারিবারিক পুষ্টিবাগান করেছি। এখন নিজ হাতে গড়া পারিবারিক পুষ্টিবাগান থেকে কলমি শাক, লাল শাক, পুঁই শাক, পেঁপে, লাউ তুলে সবজির চাহিদা পূরণ করছি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহারে পীরগঞ্জের কৃষি বিভাগ কৃষকদের বসতবাড়ির আঙিনায় অনাবাদি জমিতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনে কার্যক্রম বাস্তবায়নে কাজ করছে।
পাশাপাশি স্থানীয় সাংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী পারিবারিক পুষ্টিবাগান বাগান স্থাপনের মাধ্যমে কৃষকের পুষ্টির চাহিদা পূরণে এবং তা জোরদার করতে স্থানীয় কৃষিবিভাগ ও কৃষকদের পরামর্শ ও উৎসাহিত করছেন। পারিবারিক পুষ্টিবাগান স্থাপনে কৃষকদের উৎসাহিত করতে বীজ ও সারের পাশাপাশি বিন্যামূল্যে রক্ষণাবেক্ষণে নেট বিতরণ করা হয়েছে।
রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, পারিপারিক পুষ্টিবাগানের কারণে দৈনন্দিন খাবার তালিকায় সবজি ক্রয় হ্রাস পেয়ে খরচ সাশ্রয় হচ্ছে এবং পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।