ভিডিও

তালোড়া রেলস্টেশনটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত

প্রকাশিত: মার্চ ০৪, ২০২৪, ০৯:৩৫ রাত
আপডেট: মার্চ ০৪, ২০২৪, ০৯:৩৫ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : দুপচাঁচিয়া উপজেলার বন্দর নগর তালোড়া। তালোড়া রেলস্টেশনটি দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। মান্দাত্তা আমলে নির্মিত ভবনে বসেই চলছে স্টেশনের কার্যক্রম।

উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দক্ষিনে প্রাচীনতম বন্দর তালোড়া অবস্থিত। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ ব্যবসা-বাণিজ্য কলকারখানা সমাদৃত এই ব্যবসায়িক এলাকার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম রেল স্টেশন। সত্তর দশক পর্যন্ত দুপচাঁচিয়া উপজেলার সাথে বগুড়া জেলা শহরসহ সর্বত্র যোগাযোগের একমাত্র পথ ছিলো তালোড়া রেলপথ। বগুড়া থেকে সান্তাহার রেলপথের মধ্যবর্তী এই তালোড়া স্টেশনটি অবস্থিত। এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেসসহ ১৪টি ট্রেন চলাচল করে।

দুপচাঁচিয়া উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তি আদমদীঘি উপজেলার কুন্দুগ্রাম, চাঁপাপুর, কাহালু উপজেলার বীরকেদার, দুর্গাপর, দেওগ্রাম, নন্দীগ্রাম উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম এলাকার লোকজন এই রেলস্টেশন দিয়ে রাজধানী ঢাকা সহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই রেলস্টেশনটি বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। যাত্রীরা জানান, স্টেশনটি প্লাটফর্মের উপরেই পূর্ব পাশে স্থানীয় এক শ্রেণির অর্থলিপ্সু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মার্কেট গড়ে তুলেছে। প্রায় ১০টি ঘরের সম্বলিত এই মার্কেটের সামনে প্রতিদিন লোকসমাগম ছাড়াও যত্রতত্র ভাবে মটরসাইকেল রাখা হয়।

এতে অনেক সময় যাত্রীদের দৌড়ে ট্রেনে উঠতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। স্টেশনটির প্লাটফর্মের সাইড স্লাব দীর্ঘদিন যাবত ভাঙ্গা। এতে যাত্রী উঠানামার সময় বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। অবৈধ দখলের কারনে ৪নং রেল লাইন সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মালামাল উঠানামা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ফলে তালোড়া সরকারি খাদ্য গুদামের মাল লোডিং আনলোডিং প্রায় বন্ধের পথে। সুইপার না থাকায় ওয়েটিং কক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের দুর্ভোগ চরমে।

বর্তমান এই স্টেশনে তিনজন স্টেশন মাস্টার, চারজন পয়েন্ট ম্যান, দুইজন সিগন্যালম্যান দায়িত্ব পালন করছেন। স্টেশনের তিনটি কোয়ার্টার সম্পূর্ণরূপে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। এসব কোয়াটারে বসে মাদকাসক্ত ও সমাজ বিরোধীর আড্ডা। বর্তমান সরকার রেল খাতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটিয়েছে। স্টেশনগুলো আধুনিকায়ন করা হয়েছে।

বিভিন্ন রুটে আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল সংখ্যাও বেড়েছে। অথচ ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বন্দরনগর তালোড়া রেলস্টেশনটি এখনো মান্দাত্তা আমলের নির্মিত ভবনেই চলছে। তালোড়া রেল স্টেশন মাস্টার মারুফা শারমিন জানান, এই স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন সহস্রাধিক যাত্রী যাতায়াত করলেও স্টেশনের প্লাটফর্ম সহ স্টেশনে আসা-যাওয়ার একমাত্র সড়কটি দু’ধার দীর্ঘদিন যাবত এক শ্রেণির মানুষ অবৈধভাবে দখলে রেখেছে।

এইসব অবৈধ দখলদারদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানের জন্য কর্তৃপক্ষকে একাধিক বার লিখিত ভাবে অবগত করেছেন। প্লাটফর্ম সহ অন্যান্য সমস্যার বিষয়ে তিনি জানান, তালোড়া রেলস্টেশনটি আধুনিকায়নের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়ন হলেই যাত্রীদের উঠা-নামার প্লাটফর্মের উন্নয়ন, আধুনিক বিশ্রামাগার পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থাসহ সার্বিক ভাবে উন্নয়ন কাঠামো গড়ে উঠবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS