পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি : রংপুরের পীরগঞ্জে রবি মওসুমে ১৬৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের চাষ হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রবি মওসুমে শীতকালীন পেঁয়াজে ১৬৫০ হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজের চাষ হয়। এবছর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি পেঁয়াজের দাম ভালো হওয়ার বেজায় খুশি পেঁয়াজ চাষি কৃষকরা।
রংপুর জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন জানান, কৃষিবান্ধব সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে উচ্চ মূল্যের পেঁয়াজ জেলার ৮টি উপজেলা ও মেট্রো এলাকায় রবি মওসুমে শীতকালীন পেঁয়াজ মেট্রো এলাকায় ৪৫ হেক্টর জমিতে, সদর উপজেলায় ১০৪ হেক্টর জমিতে, কাউনিয়া উপজেলায় ২০২ হেক্টর জমিতে, গঙ্গাচড়া উপজেলায় ১৩৮ হেক্টর জমিতে, মিঠাপুকুর উপজেলায় ২০৯ হেক্টর জমিতে, পীরগঞ্জ উপজেলায় ২০২২ হেক্টর জমিতে, পীরগাছা উপজেলায় ২৪৭ হেক্টর জমিতে, বদরগঞ্জ উপজেলায় ৮৪ হেক্টর জমিতে, তারাগঞ্জ উপজেলায় ৪৪৯ হেক্টর জমিসহ সর্বমোট ৩৫০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল।
তিনি জানান, মেট্রো এলাকায় ৬৪১ মেট্রিকটন, সদর উপজেলায় ১৪৮২ মেট্রিকটন, কাউনিয়া উপজেলায় ২৮৭৯ মেট্রিকটন, গঙ্গাচড়া উপজেলায় ১৯৬৭ মেট্রিকটন, মিঠাপুকুর উপজেলায় ২৯৭৮ মেট্রিকটন, পীরগঞ্জ উপজেলায় ২৮৮১৪ মেট্রিকটন, পীরগাছা উপজেলায় ৩৫২০ মেট্রিকটন, বদরগঞ্জ উপজেলায় ১১৯৭ মেট্রিকটন, তারাগঞ্জ উপজেলায় ৬৩৯৮ মেট্রিকটনসহ সর্বমোট ৪৯৮৭৫ মেট্রিকটন উৎপাদন হয়েছে।
রবি মৌসুমে শীতকালীন পেঁয়াজ চাষি উপজেলার ধুলগাড়ী গ্রামের তোফাজ্জ্বল হোসেন, কুমারগাড়ীর আব্দুর রহমান, এনামুল হক, দ্বাড়িকাপাড়ার মোস্তাফিজার রহমান, শাহাজান মিয়া, জয়নাল মিয়া, মাহামুদুল মন্ডল, এনামুল হক ও আতাউর রহমান জানান, ৫০ শতকের এক বিঘা, ৫০ শতকের ২ বিঘা, ২৫ শতক জমিতে আমরা পেঁয়াজ আবাদ করি। এবছর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি ভাল মুনাফা হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ সাদেকুজ্জামান সরকার জানান, কৃষিবান্ধব সরকারের পেঁয়াজ উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানামুখী তৎপরতা, পীরগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় সাংসদ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী স্যারের পরামর্শ ও উদ্যোগে এবং স্থানীয় কৃষি বিভাগের কৃষক উদ্বুদ্ধকরণ এর ফলে পেঁয়াজ চাষ ও উৎপাদন এলাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি মৌসুমে জেলার মধ্য পীরগঞ্জ উপজেলায় সর্বোচ্চ ১৬৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে।
জেলার রংপুর অঞ্চলের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মন্ডল জানান, কৃষিবান্ধব সরকারের নানামুখী তৎপরতায় উচ্চমূল্যের পেঁয়াজ উৎপাদন পীরগঞ্জসহ অত্র অঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। যথাযথ বাজার ব্যবস্থাপনা করতে পারলে আগামী রমজান মাসসহ পরবর্তী মৌসুম পর্যন্ত পেঁয়াজের সরবরাহ জনসাধারণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যেই থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।