গঙ্গাচড়া (রংপুর) প্রতিনিধি: রংপুরের গঙ্গাচড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে রিমা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছেন। আজ সোমবার (৪ মার্চ) গঙ্গাচড়া সদর ইউনিয়নের চেংমারী মধ্যপাড়া এলাকায় নিজ ঘর থেকে ওই গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর থেকে স্বামী আনোয়ার মিয়া ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যরা পলাতক রয়েছেন।
এলাকাবাসী জানান, রিমা বেগম উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের রশিদুল মিয়ার মেয়ে। চার বছর আগে রিমা বেগমের সাথে সদর ইউনিয়নের চেংমারী মধ্যপাড়া গ্রামের সামছুল আলমের ছেলে আনোয়ার (২৮) মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। এরই মাঝে তাদের সংসারে দেড় বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। রোববার রাত ও আজ সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ৯টা পর্যন্ত রিমা ও আনোয়ারের মাঝে ঝগড়া হয়।
পরে স্বামী আনোয়ার বাড়ি থেকে বের হলে স্ত্রী রিমা বেগম ঘরের তীরের সাথে দড়ি পেচিয়ে আত্মহত্যা করেন। আত্মহত্যার কথা শুনে আনোয়ার ও তার পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন ঝুলন্ত লাশটিকে মাটিতে নামিয়ে পুলিশকে খবর দেয়। দুপুরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এদিকে গৃহবধু রিমার মামা সাইদুল ইসলাম ও বোন জামাই মোতয়ার অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে রিমাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করে আসছিল। সোমবার সকালে বোনকে ফোন করে রিমা বলছিলেন তার উপর নির্যাতন করা হচ্ছে। এর কিছুক্ষন পরেই আমরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি সে নাকি আত্মহত্যা করেছে। আমাদের মনে হচ্ছে রিমা ফাঁস দিয়ে মারা যায়নি। রিমাকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে ফাঁসিতে ঝুলানোর নাটক সাজিয়েছে।
গঙ্গাচড়া মডেল থানার ওসি মাসুমুর রহমান বলেন, লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হাতে এলেই মৃত্যু সঠিক কারণ জানা যাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।