জানা গেছে, গত ২৫ ফেব্রুয়ারী রবিবার শবে বরাতের দিন এশার নামাজের পর নাছিম মোবাইল ফোন নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর সে বাড়িতে ফিরে আসেনি। তারপর নাছিমকে আর কোথাও খুঁজে না পেয়ে এ বিষয়ে নাছিমের বাবা ওয়াজেল গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সোমবার সারিয়াকান্দি থানায় একটি হারানো ডায়েরি দায়ের করেন। এ ঘটনায় গত রবিবার সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ বিকাশের দোকান থেকে এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে একজনকে আটক করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় নাছিমকে হত্যা করা হয়েছে।
আটক অপহরনকারীর তথ্য অনুযায়ী সোমবার রাত ১০ টার দিকে নাছিমের মামাতো ভাই এনামূলের (১৯) বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে।
এনামুল গাবতলি উপজেলার নেপালতলী ইউনিয়নের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে সারিয়াকান্দি সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম শ্রেণির ছাত্র।
অভিযান পরিচালনা করে এনামুলের বসত বাড়ির একটি গোয়াল ঘরে মাটি খুঁড়ে হাত পা বাঁধা বস্তাবন্দি অর্ধগলিত নাছিমের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলার সহকারী পুলিশ সুপার গাবতলি সার্কেল নিয়াজ মেহেদী, সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
জানা গেছে, অপহরনের পর একটি মোবাইল ফোনে নাছিমের বাবার নিকট থেকে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী। পরে নাছিমের বাবা ২০ হাজার টাকা বিকাশে মুক্তিপণ পাঠিয়ে দেয়। মুক্তিপণেন ঐ ২০ হাজার টাকা তুলতে গিয়ে পুলিশের কাছে হাতেনাতে ধরা পরে অপহরণকারী। অপহরণকারীর নাম ঠিকানা পুলিশ পরে প্রকাশ করবে বলে জানিয়েছেন সারিয়াকান্দি থানার পুলিশ।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার গাবতলি সার্কেল নিয়াজ মেহেদী বলেন, নিখোঁজ স্কুলছাত্রের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় একটি ব্রিফিং করা হবে। ব্রিফিংয়ে সবকিছু প্রকাশ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।