ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : ভারতীয় সীমান্ত বেষ্টিত ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে এখন গরুর পরিবর্তে আসছে মাংস। সীমান্তের ওপার থেকে আসা এসব মাংস মরা গরুর নাকি অন্য কোন পশুর এ নিয়ে রয়েছে সন্দেহ। তারপরও দাম কম হওয়ায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে এসব মাংস।
উল্লেখ্য, ভূরুঙ্গামারীর বিভিন্ন হাটবাজারে কেজি প্রতি মাংস ৭শ’ টাকা দরে বিক্রি হলেও ভারতীয় এসব মাংস গ্রামেগঞ্জে ৪৫০ থেকে ৫শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ভোটহাট, পাথরডুবী, বাঁশজানি ও শিলখুড়ী সীমান্ত দিয়ে অবাধে এসব ভারতীয় মাংস বাইসাইকেলে চেপে গ্রামে ঘুরে ঘুরে বিক্রি করছে কিছু চোরাকারবারি।
কখনো কখনো এদের কাছ থেকে বিভিন্ন হাট বাজারের মাংস বিক্রেতারা মাংস কিনে এনে ফ্রিজের মাংস বলে প্রকাশ্য হাটবাজারে ৬৫০ থেকে ৭শ’ টাকা দরে বিক্রি করছে। দাম কম হওয়ায় স্থানীয় হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতেও এসব মাংস বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে। মাংস তাজা রাখতে রাসায়নিক মেশানো এবং গরুর সাথে ঘোড়ার মাংস মিশিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে বলে সীমান্ত ঘেষা অনেকে জানিয়েছে।
সম্প্রতি উপজেলা পরিষদের গেট সংলগ্ন জামতলা মোড়ে আশরাফুল নামের এক যুবক বাইসাইকেলযোগে বাজার ব্যাগে পলিথিনের পোটলায় ভারতীয় গরুর মাংস বিক্রি করার সময় স্থানীয়রা তাকে আটক করে। পরে তাকে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কাছে সোপর্দ করে। ওই যুবক সদর ইউনিয়নের ভোটহাট গ্রামের সাগর আলীর ছেলে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. শামীমা আক্তার জানান, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেনেটাটারী ইনসপেক্টর আবু বক্ব¡র সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি প্রাণিসম্পদ দপ্তরের কাজ। তবে আমরাও বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি।
বিজিবির বাগভান্ডার কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মন্জুরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।