স্টাফ রিপোর্টার : চলতি মাসেই করতোয়া নদী খনন কাজ শুরু হচ্ছে। প্রায় ৪৭ কোটি টাকা ব্যায়ে করতোয়া নদীর ১৭ কিলোমিটার এবং সুবিল বিলের ২০ কিলোমিটার খনন কাজ করতে ইতোমধ্যে টেন্ডার আহবান এবং ঠিকাদার নির্বাচন করা হয়েছে।
এদিকে খনন কাজ শুরুর আগে নদীর সীমানা চিহ্নিত করার জন্য কমিটি করার কথা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত কোন কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়নি। কমিটি গঠন সম্পন্ন না হওয়ায় সীমানা নির্ধারণ কাজ দেরি হতে পারে। আর সীমানা নির্ধারণ দেরি হলে খনন কাজও পিছিয়ে যেতে পাবে।
বগুড়া শহরকে দুই ভাগে বিভক্ত করা করতোয়া নদী এক সময় খড়স্রোতো নদী ছিলো। কালক্রমে নদী তার স্বকীয়তা হারিয়েছে। দুষন দখলে নদী নিজের পথ হারিয়েছে। নদীরতলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। একসময় গয়নার নাও চলাচল করলেও এখন ডিঙ্গি নৌকাও চলতে পারে না করতোয়ায়।
পরিবেশবাদী সংগঠন থেকে শুরু করে বগুড়ার আপমর জনগনের দাবি ছিলো করতোয়া নদী খনন করে তার হারানো যৌবন ফিরিয়ে আনা। কিন্তু দীর্ঘ দিনেও এই কাজটি হয়নি। চলতি অর্থ বছরের শুরুর দিকে বগুড়্রা জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম করতোয়া নদী খননের জন্য মন্ত্রনালয়ে দেন দরবার করেন। এর ফলম্রূতিতে ৪৭ কোটির বেশি টাকা ব্যায়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়।
ওই প্রকল্প অনুযায়ী বেসরকারী সংগঠন টিএমএসএস এর দক্ষিণ থেকে ১৭ কিলো মিটার নদী খনন এবং সুবিল খাল ২০ কিলোমিটার খনন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরই প্রেক্ষিতে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড এর নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে মোট ১৩ টি গ্রুপে টেন্ডার আহবান করা হয়। এর মধ্যে করতোয়া নদী খননের জন্য ৯টি গ্রুপ এবং সুবিল খাল খননের জন্য ৪টি গ্রুপের টেন্ডার আহবান করা হয়। টেন্ডার আহবানের পর ঠিকাদারও নির্বাচন করা হয়েছে।
করতোয়া নদী খননের পাশাপাশি এসপি ব্রিজ থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পর্যন্ত ওয়াকওয়ে হবে। তাতে গাছ লাগানো থাকবে। বসার জন্য বেঞ্চও থাকবে। এদিকে করতোয়া নদী খননের আগে নদীর সীমানা নির্ধারনের জন্য একটি কমিটি গঠন করে সীমানা নির্ধারণ করার কথা থাকলেও গতকাল পর্যন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি। ৬ মার্চের মধ্যে কমিটি করে কাজ শুরু কথা ছিলো।
বগুড়ার নদী রক্ষা কমিটির সদস্য ও স্বপ্ন বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া জানান, ৬ মার্চ খনন কাজের জন্য সীমানা নির্ধারণ কাজের উদ্বোধন করার কথা ছিলো। কিন্তু কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়নি। বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নিলুফা ইয়াছমিন জানান, করতোয়া নদীর সীমানা নির্ধারণ করার জন্য কমিটি গঠন করা হবে। কমিটি করার জন্য সংস্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। অচিরেই কমিটি গঠন করে কাজ শুরু হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ নাজমুল হক জানান, করতোয়া নদী এবং সুবিল খাল খননের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।