ভিডিও

২০ বছরে ১৬ বিয়ে, ১৭তম বিয়েতে বাধা দেয়ায় স্ত্রীকে মারধর

প্রকাশিত: মার্চ ০৬, ২০২৪, ১০:৩৪ রাত
আপডেট: মার্চ ০৬, ২০২৪, ১০:৩৪ রাত
আমাদেরকে ফলো করুন

মফস্বল ডেস্ক : গত ২০ বছরে ১৬ জন নারীকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন বরগুনার শহিদুল ইসলাম। ১৭তম বিয়ে করতে চাইলে বর্তমান স্ত্রী রিনা বেগম তাতে বাধা দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রীকে নির্যাতন করেছেন বিয়ে পাগল শহিদুল। ভুক্তভোগী স্ত্রী রিনা বেগমকে গত সোমবার (৪ মার্চ) রাতে বরগুনার আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। বিয়ে পাগল শহিদুল ইসলাম বরগুনার আমতলীর কুকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব কুকুয়া গ্রামের বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে আগের ১৫ স্ত্রীকে অকারণে তালাক দেওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্ত্রী রিনা বেগম ও স্থানীয়রা জানান, শহিদুল ইসলাম প্রতিবছর বিয়ে করেন। বছর শেষ হতে না হতেই তিনি স্ত্রীদের তালাক দেন। গত ২০ বছরে তিনি ১৬টি বিয়ে করেছেন। ১৫ জন স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি তিনি রিনাকে বেগমকে বিয়ে করেন। তার চার মাসের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। ১৭তম বিয়ে করতে শহিদুল ইসলাম নিয়মিত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে শুরু করেন রিনা বেগমকে। গত সোমবার দুপুরে বিয়েতে বাধা দেওয়ায় রিনা বেগমকে মারধর করেন শহিদুল ইসলাম। পরে স্বজনরা রিনা বেগমকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

রিনা বেগমের অভিযোগ, ‘আমি জানতাম না সে আমার আগেও ১৫ জনকে বিয়ে করে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে তাদের তালাক দিয়েছে। বিয়ের কয়েকদিন পর থেকেই তিনি আমাকে অকারণে মারধর শুরু করেন। এরপর জানতে পারি আমি তার ১৬তম স্ত্রী। বছর না ঘুরতেই তিনি আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। মূলত তিনি বিয়ে পাগল। বিয়ে করাই তার নেশা। মেয়েদের ফুসলিয়ে তিনি সব কিছু গোপন রেখে বিয়ে করেন। পরে তালাক দেন।’

শহিদুল ইসলাম স্ত্রীকে মারধরের কথা অস্বীকার করে বলেন, বিয়ে করা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। এখানে কারোর কথা আমি শুনতে চাই না।

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, মৌখিকভাবে ঘটনা শুনেছি। রিনা বেগমের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS