হাইকোর্টের আদেশ জালিয়াতি
কোর্ট রিপোর্টার ঃ হাইকোর্টের আদেশ জালিয়াতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে জাল আদেশ বগুড়ার স্পোশাল জজ আদালতে একটি মামলায় দাখিলের অভিযোগে দুদক কর্তৃক দায়েরকৃত মামলায় দুপচাঁচিয়া পৌর সভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) এর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে হাজতি পরোয়ানামূলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তিনি দুপচাঁচিয়া সিও অফিস রোডের মোঃ আফতাব হোসেনের ছেলে। আসামি জাহাঙ্গীর আলম বৃহস্পতিবার বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন।
বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কে এম মোজাম্মেল হক চৌধুরী জামিনের আবেদন শুনানী অন্তে তার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ওই আদেশ দেন।
উল্লেখ্য,হাইকোর্টের ২০১৪৪/ ২০১০ ফৌজদারী মিস কেসের ভুয়া আদেশ আসামিরা জালিয়াতি মূলে সৃষ্টি করে বগুড়ার স্পোশাল জজ আদালতে বিচারাধীন ৪/২০০৮ স্পেশাল মামলায় দাখিল করে ওই মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করার আদেশ হাসিল করেন। পরে হাইকোর্টের ১১২৮/২০২২ নম্বর রীট পিটিশন মামলার ২০২২ সালের ১৬ মার্চ তারিখের রায়ের আলোকে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা দায়ের করার জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেল (ভারপ্রাপ্ত) এর আদেশে ও মামলা পরিচালনার ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে হাইকোর্টের রীট শাখার সুপারিনটেডেন্ট মোঃ আব্দুল মোমেন বাদি হয়ে বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আসামি জাহাঙ্গীরসহ ৩ জনকে আসামি করে ৩পি/২০২২ মামলা দায়ের করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত মামলাটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন বগুড়া কার্যালয়ে প্রেরন করেন। দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয় হতে মামলাটি ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করলে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক বাদি হয়ে ওই আসামি আসামিসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৩ মার্চ এই মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত শেষে দুদক বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ হাফিজুর রহমান, দুপচাঁচিয়া পৌর সভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলমসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এই মামলার অপর আসামীরা হলেন বগুড়া শহরের উত্তর জয়পুরপাড়ার রতন চন্দ্র দাসের ছেলে দুপচাঁচিয়া পৌরসভার সচিব কার্তিক চন্দ্র দাস এবং দুপচাঁচিয়া উপজেলার দুপচাঁচিয়া ধাপ সুকুম বাড়ি (বম্ব পাড়া) এর আলহাজ্ব সোলাইমান আলীর ছেলে শিক্ষানবীশ আইনজীবী মোঃ আব্দুল মজিদ।
মামলাটি পরিচালনা করেন বাদি রাষ্ট্র পক্ষে দুদকের পিপি এড. মোঃ আনোয়ার হোসেন এবং আসামী পক্ষে এড. মোঃ আতাউর রহমান, এড. সোহেল রানা সজিব ও এড. শফিকুর রহমান।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।