রংপুর প্রতিনিধি : হাঁড়িভাঙা আমের মুকুলে এবার নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন রংপুরের আম চাষীরা। জিআই পণ্য হিসেবে এই আম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ার খবরে আনন্দিত তারা।
রংপুরের শতরঞ্জির পর এবার জিআই পণ্যের তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছে হাঁড়িভাঙা আম। বৈরি আবহাওয়া না হলে এবারও সাধারণ আমের পাশাপাশি হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিক ও চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রংপুরে ২ হাজার ৫৩৭ হেক্টর জমিতে হাঁড়িভাঙা আমের গাছ রয়েছে গত বছর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ৩৫ হাজার মেট্রিক টন আম। এবার ফলন বাড়বে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
রংপুর সদর, পালিচড়া, বদরগঞ্জের শ্যামপুর, মিঠাপুকুরের খোড়াগাছসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, এলাকার ছোট বড় বাগানগুলোতে গাছজুড়ে আমের মুকুল। শুধু বিস্তৃত গ্রামীণ জনপদেই নয়, শহরের গাছে গাছেও সুঘ্রাণ ছড়াচ্ছে আমের মুকুল।
আম চাষীরা জানান, ফেব্রুয়ারি থেকে মার্চের প্রথম সপ্তাহে আমের মুকুল এলে কৃষকরা বাগানের পরিচর্যায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ঝড় কিংবা বড় কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে আমের ফলন ভালো হবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন। হাঁড়িভাঙা আম এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
রংপুরের অর্থনীতিতে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে হাঁড়িভাঙা। যা শিগগিরই জিআই পণ্য হিসেবে ঘোষিত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক মোবাশ্বের হাসান।
তিনি বলেন, রংপুরে প্রতিবছর হাঁড়িভাঙা আমের বাম্পার ফলন হয়। এবার হাঁড়িভাঙা আম নিয়ে সুখবর রয়েছে। খুব দ্রুত ভালো খবর পাবো আশা রাখি। তিনি বলেন, এটার কার্যক্রম প্রায় সমাপ্তের পথে।
আগামী দুই মাসের মধ্যে হাঁড়িভাঙার আম জিআই পণ্যে রূপান্তরিত হওয়ার অফিশিয়াল ঘোষণা আসবে।
গত বছরের চেয়ে এবার হাঁড়িভাঙা আমের লক্ষ্যমাত্রা অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল।
তিনি বলেন, গতবছর যেই বাগানগুলো ছোট ছিল সেগুলোর ফল ধরবে এবং আমের উৎপাদন শুরু হবে। যার কারণে গত বছরের চেয়ে এই বছরে হাঁড়িভাঙা আমের উৎপাদন বেড়ে যাবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।