গ্রামীণ অবোকাঠামো উন্নয়নে
রংপুর প্রতিনিধি : রংপুর জেলার ৮ উপজেলায় ১৩ বছরে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ৬৪ হাজার ১৫৫টি প্রকল্পের মাধ্যমে ১হাজার ২৭২ কোটি ৪৭ লাখ ৭৫ হাজার ৫১৯ টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে দুর্যোগ ও পূণর্বাসন মন্ত্রণালয়।
এছাড়াও কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচি ও গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ১ লাখ ২হাজার ২৫৮ মেট্রিক টন চাউল বিতরণ করা হয়েছে। প্রকল্পগুলো রংপুর সদর, কাউনিয়া, গংগাচড়া, তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, পীরগাছা, পীরগঞ্জ ও মিঠাপুকুর উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
রংপুর জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কার্যালয়ের কর্মকর্তা মোতাহার হোসেন জানান, রংপুরের ৮টি উপজেলায় সল্পমেয়াদি কর্মসংস্থানের মাধ্যমে অতিদরিদ্র ও মৌসুমী বেকার শ্রমিক পরিবারের জন্য ৪০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
এরমধ্যে কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচির আওতায় ৯ হাজার ৬৯৫টি প্রকল্পে ৪৬ হাজার ৪১৮ দশমিক ৩৭২ মেট্রিক টন চাউল, কাজের বিনিময় টাকা (কাবিটা) কর্মসূচিতে ৩১২ কোটি ৬২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮০ টাকা, ৩৯ হাজার ৭৯৩টি গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণের (টেস্ট রিলিফ) জন্য ১৫২ কোটি ৬৪ লাখ ১৬ হাজার ৬০২ টাকা, ৫২০টি সেতু-কালভার্ট তৈরিতে ১৩০ কোটি ৮২ লাখ ৩০ হাজার ৪০৮ টাকা, ১৬ হাজার ৫৫৪টি ৪০ দিনের কর্মসূচির বিপরীতে ৪২৪ কোটি ৮৭ লাখ ৯৯ হাজার ৬৭৩ টাকা, ৭০টি ইট বিছানো (এইচবিবি) সড়ক তৈরিতে ২৯ কোটি ৯১ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৬ টাকা এবং ৬৩২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের ঘর নির্মাণের জন্য ১৭ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৯৭ টাকা প্রদান করা হয়।
তারাগঞ্জ উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আলতাব হোসেন জানান, এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে যাতায়াত সহজ করার জন্য ব্রীজ-কালভার্ট, সড়ক, মসজিদ মাদ্রাসা, মন্দির সংস্কার, জলাবদ্ধতা দূরীকরণ, সেচ কাজের জন্য নদী-নালা খননসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে।
রংপুর সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল মতিন জানান, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ মাটির রাস্তাসহ গ্রামীণ অবকাঠামো নির্মাণে দরিদ্র জনগোষ্ঠী আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে। এতে দারিদ্রতা বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।