রংপুর জেলা প্রতিনিধি : রংপুরে বর্তমানে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টিতে কোন উন্নয়ন প্রকল্প চালু নেই। রাজস্ব খাতে মাঠ পর্যায় কিছু কাজ চললেও প্রায় ১ বছর ধরে জেলার মৎস্য অফিসগুলোতে কর্মকর্তারা কার্যত দাফতরিক কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।
ফলে মাছ উৎপাদনে পিছিয়ে থাকা রংপুর জেলায় দীর্ঘমেয়াদী নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্টরা। জেলায় মাছের বাৎসরিক চাহিদা হচ্ছে ৬৩ হাজার মেট্রিক টন। বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে ৬২ হাজার মেট্রিক টন। এখনও ঘাটতি রয়েছে ১ হাজার মেট্রিক টন।
রংপুর জেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়ের সূত্রে জানা যায়, জেলায় গত ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৯ বছরে বিভিন্ন মেয়াদে কমপক্ষে ৫টি প্রকল্প চালু ছিলো। এতে প্রতি বছরে কমপক্ষে ৫ হাজার মাছ চাষি ও মাছ উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্তরা উপকৃত হয়েছে। ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত জেলায় চালু ছিলো রংপুর বিভাগ মৎস্য উন্নয়ন প্রকল্প।
ইউনিয়ন পর্যায়ে মৎস্য চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প চালু ছিলো ২০১৫ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত। জাতীয় কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্প (এনএটিপি-২) চলেছে ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত। ব্রুড ব্যাংক স্থাপন প্রকল্প ২০১৬ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এবং ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত চলেছে জলাশয় সংস্কারের মাধ্যমে মৎস্য আবাসস্থল উন্নয়ন প্রকল্প।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।