সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি: স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বরাবরে সৈয়দপুর পৌরসভার জরাজীর্ণ রাস্তা মেরামত ও ড্রেন নির্মাণের জন্য ৫০ কোটি টাকা চেয়ে আবেদন করেছেন নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মো. সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক। গত মঙ্গলবার তিনি ঢাকা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে গিয়ে মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করে ওই আবেদন দেন।
মন্ত্রী বরাবর করা আবেদনে সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক উল্লেখ করেন, নীলফামারী জেলার একটি প্রথম শ্রেণীর প্রাচীনতম পৌরসভা সৈয়দপুর। ১৯৫৮ সালে স্থাপিত পৌরসভার আয়তন প্রায় ৩৪.৪২ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে পৌরসভা এলাকায় দুই লক্ষাধিক মানুষের বসবাস।
পৌরসভা এলাকায় রয়েছে আকাশপথে রংপুর বিভাগের প্রবেশদ্বার সৈয়দপুর বিমানবন্দর। রয়েছে দেশের বৃহত্তম সৈয়দপুর রেলওয়ে কারখানা, সেনানিবাস, বাংলাদেশ আর্মি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়, বিসিক শিল্পনগরীসহ অসংখ্যক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, কল-কারখানা। এছাড়া সৈয়দপুর শহরের অদূরে রয়েছে উত্তরা রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড)।
ইপিজেডের বেশিরভাগ শ্রমিক কর্মচারী সৈয়দপুরে বসবাস করেন। ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এখানে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার মানুষের সমাগম ঘটে প্রতিনিয়ত। কিন্তু এতো কিছু থাকার পরও গুরুত্বপূর্ণ সৈয়দপুর পৌরসভা এলাকার রাস্তাগুলো সংস্কার ও মেরামতের অভাবে জরাজীর্ণ ও চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে শহরের তামান্না সিনেমা হল মোড় থেকে ওয়াপদা মোড় পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার শেরে বাংলা সড়কটির করুণ দশা।
এসব জরাজীর্ণ বেহাল, ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে পৌরবাসী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিবছর সরকারিভাবে এডিপির বরাদ্দকৃত অর্থ দিয়ে পৌরসভার প্রায় ১২০ কিলোমিটার সড়ক সংস্কার, মেরামত কিংবা পুন:নির্মাণ করা অসম্ভব হয়ে দেখা দিয়েছে। এতে পৌরসভা এলাকার রাস্তাগুলোর সকল প্রকার যানবাহন চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে পৌর এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন চরম কষ্ট ও দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
এ অবস্থায় নীলফামারী-৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য আলহাজ মো. সিদ্দিকুল আলম সিদ্দিক পৌরসভার প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ছয়টি রাস্তার ও ড্রেন সংস্কার ও পুন:নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের বিশেষ বরাদ্দ হতে সৈয়দপুর পৌরসভার অনুকূলে বরাদ্দ প্রদানের জন্য এলজিইডি মন্ত্রী বরাবরে একটি আবেদন করেছেন।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীকে সেসব চলমান প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত করে বাস্তবায়নের ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।