ভিডিও

পানিশূন্যতা পূরণের

ফল-সবজির দাম শুনেই গলা শুকাচ্ছে রোজাদারের 

প্রকাশিত: মার্চ ১৪, ২০২৪, ০৭:১৫ বিকাল
আপডেট: মার্চ ১৫, ২০২৪, ১১:১৯ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

স্টাফ রিপোর্টার : চলছে পবিত্র রমজান মাস। সারাদিন রোজা থাকার ফলে তৃষ্ণা মেটাতে ও শরীরের পানিশূন্যতা পূরণে তরমুজ বেশ কার্যকরি। ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই ফল রোজায়ও সতেজ রাখতে কাজ করে। এছাড়াও ইফতারে বেলের তৈরি শরবত নানাভাবে শরীরের উপকার করে। রোজায় হজমের সমস্যা, পেটে গ্যাস জমে থাকাসহ নানা সমস্যায় প্রতিদিনের ইফতারে এই ফল বেশ উপকার দেয়।

তবে পানিশূন্যতা পূরণ বা পেটের সমস্যা দূর করতে এসব ফলের দাম শুনে গলা শুকাচ্ছে রোজাদারের। পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে বগুড়ার বাজারগুলোতে প্রতিকেজি তরমুজ ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা দাম বেড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ ফলটির পাইকারি ব্যবাসয়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহের তুলনায় ফলটির সরবরাহ বেড়েছে। মোকামগুলোতেও কমতির দিকে দাম। তাদের অভিযোগ, রোজার ইফতারিতে চাহিদা বাড়ায় খুচরা ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমত দাম নিচ্ছেন। ফলে বাজারে যথেষ্ট সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও অসাধু ব্যবসায়ীরা রোজাদারদের জিম্মি করে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। এদিকে রোজার ইফতারিতে বেলের চাহিদা বাড়ায় প্রতি বেলে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। ফলটির খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদা মতো চেয়েও মোকামে বেল পাওয়া যাচ্ছে না। পাইকারিতেই তাদের প্রতিটি বেলে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে কিনতে হচ্ছে ফলে খুচরাতেও দাম বেড়েছে বলে দাবি করছেন তারা।

এদিকে শশা শরীরে আর্দ্রতা বজায় রেখে পানি শূন্যতা রোধ করে। শসা হলো এমন একটি সবজি যাতে পানির পরিমাণ থাকে প্রায় ৯৫ শতাংশ। রোজায় পানিশূন্যতা দেখা দেওয়া খুব স্বাভাবিক। তাই প্রতিদিনের ইফতারে পর্যাপ্ত শসা খাওয়া দরকার। এটি শরীরে পানির ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করে সাথে সারাদিনের ক্লান্তিভাব অনেকটাই কমে যায়। এমন কথা মাথায় রেখে ইফতারিতে সব শ্রেণির মানুষের সহজ ও সাধারণ পছন্দ শশা বা খিরা। তবে অসাধু ব্যবসায়ীদের থাবা পড়েছে এই দু’টি সবজিতেও। রমজানের প্রথম দিনে প্রতিকেজি ৮০ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে সবজি দু’টির। গতকালও খুচরা পর্যায়ে প্রতিকেজ খিরা ৬০ ও শশা ৭০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

রাজা বাজারের ব্যবসায়ী রতন মিয়া বলছেন, রোজার আগে বগুড়ার বৃহত্তম সবজির বাজার মহাস্থানে প্রতিমণ শশা ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকায় বিক্রি হয়। আর বর্তমানে প্রতিমণ শশা দাম বেড়ে দুই হাজার থেকে ২২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও ১২শ’ থেকে ১৩শ’ টাকা মণের খিরা রোজায় দাম বেড়ে ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

পাইকারিতে প্রতি কেজি শশা ৫০ টাকা বিক্রি হলেও ইফতারির আগে রোজাদারের চাহিদাকে পুঁজি করে ৭০ টাকা কেজিতেও বিক্রি হতে দেখা যায় সবজিটি। আর রোজার প্রথম দিন ৮০ টাকা পর্যন্ত ওঠে খিরা দাম। পাইকারিতে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও গতকাল প্রতিকেজি খিরা ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। অথচ ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে সবজি দু’টির সরবাহ আগের তুলনায় বেড়েছে।

এদিকে সবজির দু’টির আবাদ বগুড়াতে বেড়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। রবি মৌসুমে জেলায় ৩১৭ হেক্টর জমিতে শশা ও ২৬৫ হেক্টর জমিতে খিরার চাষাবাদ হয়েছে। শশার হেক্টর প্রতি ফলন পাওয়া গেছে ২২ দশমিক ৩ মেট্রিকটন ও খিরার ফলন পাওয়া যাচ্ছে ২৩ দশমিক ৩২ মেট্রিকটন। এছাড়াও খরিপ-১ মৌসুমে চার শতাধিক হেক্টর জমিতে শশা ও ৩৫০ হেক্টর জমিতে খিরার চাষাবাদ করছেন জেলার চাষিরা।     

 



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS