ভিডিও

মাদ্রাসায় বাবার দানের জমি ৩৩ বছর পর ছেলের বিরুদ্ধে দখলের অভিযোগ

প্রকাশিত: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৭:৩৪ বিকাল
আপডেট: মার্চ ১৬, ২০২৪, ০৭:৩৪ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামের উলিপুরে মাদ্রাসার জমি দখলের অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের পশ্চিম কালুডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া এবতেদায়ী ও নূরাণী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসায়।

জমির মালিক আমীন উদ্দিন ওই মাদ্রাসার নামে ৫ শতক জমি দান করলেও ৩৩ বছর পর তার ছেলে রফিকুল ইসলাম (৫০) সেই জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল আলম উলিপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৭৫ সালে পশ্চিম কালুডাঙ্গা দক্ষিণপাড়া এবতেদায়ী ও নূরাণী তালিমুল কোরআন মাদ্রাসাটি মসজিদের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে আমীন উদ্দিন ১৯৯১ সালের ১২ ডিসেম্বর ওই মাদ্রাসার নামে পশ্চিম কালুডাঙ্গা মৌজার জেএলনং-৯৮ এর ৪৩৬নং খতিয়ানের ১৫৪২নং দাগের দুই প্লটের ৫ শতাংশ জমি দান করেন। দলিল নং ১১১০৪।

এরপর মসজিদ থেকে পৃথক হয়ে ওই জমির ওপর মাদ্রাসার অবকাঠামো নির্মিত হয়ে মাদ্রাসাটি পরিচালিত হয়ে আসছে। মাদ্রাসার জমিদাতা আমীন উদ্দিনের মৃত্যুর ৩০ বছর পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে তার ছেলে রফিকুল ইসলাম মাদ্রাসায় তার বাবার দান করা জমি দখল করার জন্য মাদ্রাসার সীমানায় ঘর নির্মাণ করতে আসেন। এমতাবস্থায় মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন দিয়ে অভিযোগ করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে শান্ত করে কাগজপত্র দেখে বিষয়টি সমাধান করার আশ্বস্ত করেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বলেন, আমার বাবা এবতেদায়ী মাদ্রাসার জন্য জমি দান করেছেন (দলিলে উল্লেখ আছে) এখানে কোন এবতেদায়ী মাদ্রাসা নেই। তাই দীর্ঘদিন মাদ্রাসা পরিচালিত না হওয়ায় আমি ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করেছিলাম। মাদ্রাসার কমিটির লোকেরা আমার ঘর ভেঙে নিয়ে গেছে।

উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, মাদ্রাসা পরিচালা কমিটির পক্ষ থেকে ৯৯৯ ফোন পাওয়ার পর সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে দুই পক্ষকে শান্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে মাদ্রাসার ওই জায়গা নিয়ে কোর্টে মামলা হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS