ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনট উপজেলায় হাট-বাজারের দোকানগুলোতে নিত্যপণ্যের নির্ধারিত মূল্য তালিকা টাঙানো হচ্ছে না। ফলে বিক্রেতারা ইচ্ছেমত ক্রেতাদের কাছ থেকে দাম আদায় করছেন। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে রোজার শুরুতে নিত্যপণ্যের মূল্য তালিকা দোকানের সামনে টাঙানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
ক্রেতাদের অভিযোগ, প্রশাসন বাজার তদারকি না করায় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রেতারা খেয়াল খুশিমতো পণ্যের দাম আদায় করছেন। তবে কোন কোন দোকানে মূল্য তালিকা থাকলেও সেটি নামে মাত্র রাখা হয়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। আর ব্যবসায়ীদের দাবি, তারা সরকারি বিধান মেনে মূল্য তালিকা অনুযায়ী পণ্য বিক্রি করছেন।
সরেজমিন উপজেলা সদরসহ প্রত্যন্ত এলাকার কয়েকটি হাটবাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক বাজারের নিত্যপণ্যের দামের সঙ্গে অন্য বাজারের মিল নেই। প্রায় পণ্যেই ৫ থেকে ৭ টাকার ব্যবধান। বিশেষ করে মাছ ও সবজির দামে তারতম্য বেশি। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ উপজেলা প্রশাসন বাজারের অস্থির পরিস্থিতি বন্ধ করার চেষ্টা করলেও নেই তেমন কোন কার্যকারিতা বরং ব্যবসায়ীরা প্রতিনিয়ত কারসাজি করে যাচ্ছেন।
উপজেলার সোনাহাটা বাজারের ক্রেতা মিনহাজ উদ্দিন বলেন, বর্তমানে বাজারের অবস্থা অনেক খারাপ। বাজারে এলেই মানুষের কষ্টের কথা শোনা যায়। এরমধ্যে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে বিক্রি করছে না কোন পণ্য। যার কাছ থেকে যতো বেশি দাম রাখতে পারেন তা নিচ্ছেন। মূল্য তালিকা না টাঙিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে ছোট-বড় সব ব্যবসায়ী।
মথুরাপুর বাজারের ক্রেতা হালিম তালুকদার বলেন, আমরা ফেসবুক, ইউটিউব, পত্রিকাসহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে দেখতে পাচ্ছি বাজার নিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো তদারকি করে যাচ্ছেন। কিন্তু কোন ব্যবসায়ীই বাস্তবে সরকারের নির্দেশনা মানছেন না।
গোসাইবাড়ি বাজারের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, ক্রেতারা একদামে কিনতে চায় না। দামাদামি করে কিনতে পছন্দ করেন। তালিকা দেখে আমাদেরকে বলে আমরা নাকি ভূয়া মূল্য তালিকা টাঙিয়েছি। পণ্য তালিকা বিশ্বাস করেন না। তো আমরা কী করবো?
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশিক খান বলেন, প্রতিনিয়ত মূল্য তালিকা নিয়ে বাজার নজরদারিতে রাখি। এটা ঠিক যে ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনেকেই মূল্য তালিকা টাঙায় না। এজন্য মাঝে মধ্যে মোবাইল কোর্টও পরিচালনা করা হয়।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।