দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার তালোড়ার রেলক্রসিংগুলো মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। গেট ও গেটম্যান না থাকায় রাস্তা পারাপারের সময় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। সান্তাহার-বগুড়ার মধ্যবর্তী স্টেশন তালোড়া। এ স্টেশনের পশ্চিম পাশে দেবখন্ড, বড়চাপড়া ও দুবড়া এলাকায় ৩টি রেলক্রসিং দীর্ঘদিন ধরে অরক্ষিত।
ফলে প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়েই এই ক্রসিং দিয়েই পথচারী, শিক্ষার্থী ও যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। ব্যস্ততম বগুড়া-সান্তাহার এই রেললাইন দিয়ে প্রতিদিন আন্তঃনগর রংপুর এক্সপ্রেসসহ ১৪টি ট্রেন যাতায়াত করে। এই এলাকার প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে।
দেবখন্ড রেল ক্রসিংটি আরও গুরুত্বপূর্ণ। এই ক্রসিংয়ের উত্তরপাশে রয়েছে তালোড়া ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, দেবখন্ড রিয়াজুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়, দেবখন্ড ছিদ্দিকীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা, দেবখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দেবখন্ড স্বাস্থ্য কমিউনিটি সেন্টার।
ফলে এই ক্রসিং দিয়েই প্রতিদিন শত শত মানুষসহ যানবাহন যাতায়াত করে থাকে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের একমাত্র পথ এই রেলক্রসিং। ফলে এলাকাবাসী এই রেল ক্রসিংয়ে যে কোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছে। এদিকে রেল ক্রসিংয়ের গেট ও গেটম্যানের সমস্যা সমাধান নিরসনে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার আবেদন করে কোন লাভ হয়নি।
এ ব্যাপারে তালোড়া ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সৈয়দ মাহবুবুর রহমান পলাশ, দেবখন্ড ছিদ্দিকীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক, দেবখন্ড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উম্মে হাবিবা জুঁইসহ অনেকেই জানান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্যই দেবখন্ড রেলক্রসিংসহ গেটম্যান দেওয়া জরুরি।
তালোড়া ইউপি চেয়ারম্যান মেহেরুল ইসলাম জানান, এলাকাবাসীর দাবী ওই স্থান তিনটিতে গেট বেড়িয়ার স্থাপনসহ গেটম্যান রাখা জরুরি।
এ ব্যাপারে আজ সোমবার (১ এপ্রিল) তালোড়া স্টেশন মাস্টার মারুফা শারমিন জানান, স্টেশনের পূর্ব পাশের রেলঘুমটিতে গেট বেড়িয়ার থাকলেও পশ্চিম পাশে দেবখন্ড বড়চাপড়া ও দুবড়া এলাকায় কোন গেট বেড়িয়ার নেই। বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জনবলের অভাবে গেটম্যান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে গেট তিন’টিতে নিজ দায়িত্বে পারাপার হবেন সতর্ক সাইনবোর্ড দেওয়া আছে। তারপরেও গেট তিনটির ক্রসিং দিয়েই এলাকার জনগণ ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছেন।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।