ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদরের মধুহাটি ইউনিয়নের হারিজের মোড় এলাকা থেকে কিশোরী নববধূ সালমা খাতুনের (১৩) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। সালমা খাতুন পার্শ্ববর্তী যাদবপুর গ্রামের আশির মিয়ার মেয়ে।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই সালমা খাতুনের স্বামী রঙমিস্ত্রি মো. সম্রাটসহ বাড়ির সকল সদস্য পলাতক। সম্রাট পার্শ্ববর্তী বড়বাড়ি গ্রামের মো. জালালের ছেলে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। থানায়ও কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।
জানা যায়, সালমা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ডুগডুগি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াশুনা করতো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে সম্রাটের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই এক পর্যায়ে দুই পরিবারের সম্মতিতে প্রায় তিনমাস আগে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে মাঝেমধ্যেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাগবিতন্ডা হতো। শনিবারও তাদের মধ্যে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়। সোমবার সকালে ঘরেই ছিল সালমা খাতুন। দুপুরে শ্বশুরবাড়ির লোকজন সালমার বাবা-মাকে জানান সে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এরপর শ্বশুর লোকজন নিয়ে তাকে ভ্যানে করে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসছিলেন। পথিমধ্যে হারিজের মোড় এলাকায় পৌঁছালে সালমার বাবার বাড়ির লোকদের দেখে ভ্যানে মরদেহ রেখেই পালিয়ে যান তারা।
ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর আবিদুর রহমান জানান, সালমার মৃত্যু নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারণ গলায় ওড়না পেঁচালে যে দাগ হয় সেরকম কোনো দাগ পাওয়া যায়নি। তাই সঠিক মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে ঘটনার পর থেকেই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন। তাদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।