টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদের ধস্তাধস্তিতে বাসের যাত্রী নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাষ চন্দ্র, বাসের চালক আনসার মোল্লা ও সহকারী এহসান মিয়া আহত হয়েছেন।
ডাকাত দলের সদস্যরা যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ দুই লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকা ও তিন লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়। পরে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে সন্দেহভাজন একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানান হাইওয়ে পুলিশের গাজীপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রাজীউর রহমান। এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) দিনগত রাতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, গ্রেফতার সন্দেহভাজন সোহেলের কাছে বৈধ এনআইডি কার্ড ও শিক্ষা সনদ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার রাতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আব্দুল্লাহ পরিবহনের (ঢাকা-মেট্রো-ব-১১-০১৪৪) যাত্রীবাহী বাস রাজশাহীর উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। মহাসড়কের চন্দ্রা থেকে যাত্রীবেশে ৫-৬ জন ডাকাত সদস্য বাসে ওঠেন। রাত দেড়টার দিকে মির্জাপুর বাইপাস পার হওয়ার পর ডাকাত সদস্যরা চালককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাসটি নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে তারা যাত্রীদের কাছ থেকে দুই লাখ ৫৩ হাজার ৯৫০ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার লুটে নিয়ে মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে ইউটার্ন করে ঢাকার দিকে যাত্রা করেন।
এসময় যাত্রীদের মধ্যে ৯৯৯ নম্বরে কল পেয়ে জেলা ও গোড়াই হাইওয়ে থানা পুলিশ ডাকাত সদস্যদের আটক করতে ধাওয়া করে। এসময় ডাকাত সদস্যরা হাইওয়ে পুলিশের গাড়ি চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশের গাড়িটির সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় হাইওয়ে থানায় কর্মরত কনস্টেবল রসুল আলী তার শটগান থেকে এক রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়েন। গোড়াই ফ্লাইওভারের পূর্ব পাশে মির্জাপুর থানার টহল পুলিশ রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়ে বাসটি আটক করে।
এসময় ডাকাত সন্দেহে যাত্রীদের গণধোলাইয়ের শিকার হন সোহেল রানা নামের একজন। তিনি রাজশাহীর তানোর উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সৌখিন মিয়ার ছেলে। ডাকাত ও যাত্রীদের ধস্তাধস্তিতে বাসের যাত্রী নৌপুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সুভাষ চন্দ্র, বাসের চালক আনসার মোল্লা ও সহকারী এহসান মিয়া আহত হন।
এর আগেই পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত সদস্যরা বাস থেকে নেমে পালিয়ে যান। পরে হাইওয়ে পুলিশ বাস জব্দ ও গ্রেফতার সোহেলকে মির্জাপুর থানায় সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় বাসের চালক আনসার মোল্লা বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করেন।
মির্জাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম জানান, গ্রেফতার সোহেলের কাছে তার বৈধ এনআইডি ও শিক্ষা সনদ পাওয়া গেছে। একজন ডাকাত সদস্যের কাছে এসব কাগজপত্র থাকার কথা না। সোহেলের বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।