রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরে মেঘনা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির গ্রাহকদের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই সমিতির ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহক আজিম প্রামাণিক ও সাইদুল মোল্লা বাদি হয়ে রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
জানা যায়, উপজেলার মিরাট ইউনিয়নে মিরাট গ্রামে ২০১৬ সালে ওই গ্রামের শ্রী গোপাল চন্দ্র সরকার ও জয়বুল ইসলাম বাবুর নেতৃত্বে ১৫ সদস্য মিলে মেঘনা গ্রাম উন্নয়ন সমিতি নামে একটি অফিস খুলে বসে। তখন থেকে গ্রাহকদের লোভনীয় অফার দিয়ে মধ্যবিত্তসহ নানা শ্রেণির পেশাজীবী লোকজনদের কাছ থেকে নানা মেয়াদি ডবল স্কীমের আশ্বাস দিয়ে মাঠ পর্যায়ে হাজার হাজার টাকা আমানত সংগ্রহ করতে থাকে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু গ্রাহকের টাকা মেয়াদ অনুযায়ী ডবল হয়ে গেলে তাদের টাকা ফেরত দিতে নানা ধরণের টালবাহানা শুরু করে।
এক পর্যায় মেঘনা কর্তৃপক্ষ আমানত সংগ্রহ কমিয়ে দিয়ে অফিস বন্ধ করে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করে। আতংকিত গ্রাহকরা তাদের নির্ধারিত টাকা ফেরত না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পরে। গ্রাহকরা মেঘনা অফিসের কর্ণধরদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে টাকা ফেরতের চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়। কোন কিনারা না পেয়ে গ্রাহকদের আমানতের টাকা ফেরত পাওয়ার আশায় ভূয়া রেজিস্টেশন বিহীন মেঘনা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
প্রতারিত গ্রাহক আজিম প্রামাণিক জানায়, আমার টাকা জমা দেওয়ার মেয়াদ পূর্ণ হয়ে ২বছর পার হলেও তারা আমাকে কোন টাকা ফেরত দিচ্ছে না বরং তারাই উল্টো আমাকে ভয়ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। তাই আমি নিরুপাই হয়ে আইনগত সহযোগিতা পাওয়ার আশায় অভিযোগ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উন্মে তাবাসসুম জানান, মেঘনা গ্রাম উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানি ও অর্থ আত্মসাতের একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে এই সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।