ভিডিও

দাবদাহ ও লোডশেডিং এ বিপর্যস্ত সারিয়াকান্দির জনজীবন

প্রকাশিত: এপ্রিল ০৫, ২০২৪, ০৫:৫৭ বিকাল
আপডেট: এপ্রিল ০৫, ২০২৪, ০৫:৫৭ বিকাল
আমাদেরকে ফলো করুন

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি : সারাদেশের মত বগুড়া সারিয়াকান্দিতে দাবদাহ ও বিদ্যুতের লোডশেডিং জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। মার্কেটগুলোতে প্রচন্ড ভোগান্তিতে ক্রেতা বিক্রেতা। বোরো ধানের জমিতে পানি দেওয়া নিয়ে বিপাকে কৃষক।

বগুড়া সারিয়াকান্দিতে সকাল থেকে শুরু করে বিকাল পর্যন্ত দাবদাহ বিরাজ করছে। দুপুরের দিকে তা আরও ভয়াবহ অবস্থায় চলে যায়। তীব্র গরমের পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিং এ নাকাল জনজীবন। উপজেলার  পৌর এলাকায় ২৪ ঘন্টায় ৫  থেকে ৬ বার বিদ্যুৎ দীর্ঘসময় ধরে লোডশেডিং চলে। গ্রামাঞ্চলের পরিস্থিতি আরও বেশি খারাপ।

সেখানে ২৪ ঘন্টার মধ্য ১০ ঘন্টাও বিদ্যুৎ পাচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন গ্রাহকেরা। এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ঈদ মার্কেটে বেশ জনভোগান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ক্রেতারা অন্ধকারে ঘেমে গুমোট পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে করছেন ঈদের  শেষ  কেনাকাটা।

উপজেলার বিভিন্ন টেইলার্সগুলোতে  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ঈদের জন্য অর্ডার  নেয়া কাপড়  ডেলিভারি দিতে পারবেন না। এদিকে বিদ্যুৎ নির্ভর সকল দোকানিরা বিদ্যুৎ না থাকায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে পারবেন না বলে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। এদিকে ঘনঘন বিদ্যুৎ যাতায়াত করায় বিপাকে রয়েছেন বোরোধানে পানি দেয়ার শ্যালো মেশিন চালকরা।

একদিকে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় এবং বারবার বিদ্যুৎ চলে যাওয়ায় বারবার  মেশিন চালু করা নিয়ে তারা বিপাকে রয়েছেন। তীব্র দাবদাহে কৃষি অফিস থেকে অতিরিক্ত পানি জমিতে ধরে রাখার পরামর্শ দিলেও বিদ্যুৎ না থাকার জন্য তা করতে পারছেন না শ্যালো  মেশিনের চালকরা। এক্ষেত্রে অফপিক সময়ে জমিতে পানি  দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিস।

উপজেলার হাটশেরপুর ইউনিয়নের নিজবলাইল গ্রামের সুলতান মাহমুদ প্রিন্স বলেন, গ্রামাঞ্চলে সারাদিন এবং রাতেও বিদ্যুৎ একেবারেই থাকে না বললেই চলে। অপরদিকে দাবদাহে সারাদিন রাত  কোনরূপ হাঁসফাঁস করে জীবনডা  বেঁচে রাখছি।

বগুড়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সারিয়াকান্দি জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শফি আহম্মেদ বলেন, সারিয়াকান্দি উপজেলায় বিদ্যুৎ এর চাহিদা ১০ মেগাওয়াটের  বেশি। সেখানে ৫ মেগাওয়াটের কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। বোরোধানের জমিতে রাতে অফপিক সময়ে পানি  দেওয়ার জন্য শ্যালো মেশিন চালকদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS