ভিডিও

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সিরাজগঞ্জের নাজমুলের পরিবারে নেই ঈদ আনন্দ

প্রকাশিত: এপ্রিল ০৫, ২০২৪, ১০:৫১ রাত
আপডেট: এপ্রিল ০৬, ২০২৪, ১১:২৮ দুপুর
আমাদেরকে ফলো করুন

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : আর ক’দিন পরই মুসলমানদের পবিত্র ধর্মীয় উৎসব ঈদল ফিতর। ঈদ উৎসবে প্রিয়জনের জন্য কেনাকাটা করতে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন মার্কেটে ছুটছেন ক্রেতারা। পরিবারের সবাই অপেক্ষা করছে সেই দিনটির জন্য।

তবে ভারতীয় মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে জিম্মি নাবিক সিরাজগঞ্জের নাজমুল হকের পরিবার অপেক্ষায় আছে কখন জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হয়ে ফিরে আসবে মা-বাবার বুকে প্রিয় সন্তান নাজমুল।

গতকাল বৃহস্পতিবার জিম্মি নাজমুল হকের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায়,  ঈদ সামনে রেখে তাদের পরিবারে হচ্ছে না কোনো ধরনের কেনাকাটা। নেই ভালো কিছু রান্নার প্রস্তুতিও। অন্যবারের ঈদগুলো হাসি-খুশির থাকলেও এবার ঈদ তাদের কাছে নীরব কান্নার।

একইসাথে বয়ে বেড়াচ্ছে শঙ্কা ও প্রতীক্ষা। পরিবারের উপার্জনশীল প্রিয় ব্যক্তি বন্দিদশায় মহাসাগরে তলিয়ে গেছে তাদের ঈদ আনন্দ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে ঈদুল ফিতরের আগেই ২৩ নাবিকের মুক্তির আকুতি জানিয়েছেন নাজমুলের স্বজনেরা।

জলদস্যুদের হাতে জিম্মি সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের প্রত্যন্ত চর-নূরনগর গ্রামের আবু শ্যামা ও নার্গিস দম্পতির একমাত্র ছেলে নাজমুল হক। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানান, নাজমুল হকের বয়স মাত্র ২৩ বছর। দুই ভাই-বোনের মধ্যে তিনি বড়। ছোটবেলাতেই মারা গেছেন তার তিন ভাই-বোন।

মাত্র ২০ বছর বয়সেই জাহাজে চাকরি পাওয়ার সুবাদে পরিবারের মুখে ফুটিয়েছেন হাসি ও খুশির আনন্দ। কিন্তু গত ১২ মার্চ অপহৃত হওয়ার পর থেকেই ছেলের মুক্তির সংবাদের প্রতীক্ষায় সময় পার করছেন নাজমুলের মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা। তাদের সন্তান ফিরে পেতে আল্লাহর দরবারে নামাজ, রোজা ও দোয়া করে সময় পার করছেন তারা। দির-রাত ছেলের ছবি এবং মোবাইলে কোনো সংবাদ এলো কিনা তা দেখছেন তারা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুস সাত্তার বলেন, দরিদ্র পরিবারের সন্তান জাহাজে চাকরি পাওয়ায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু জলদস্যুদের হাতে নাজমুলের জিম্মি হওয়ার খবর শুনে আমরাও খুব ভেঙে পড়েছি। 
কামারখন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শহীদুল্লাহ সবুজ বলেন, বিষয়টি শোনার পরই নাজমুলের পরিবারের কাছে গিয়েছিলাম। আপনারা বিশ্বাস রাখুন সরকার দ্রুত আপনাদের ছেলেসহ সকল বন্দিকে ফিরিয়ে আনবে ইনশাল্লাহ।

কামারখন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শাহীন সুলতানা বলেন, জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার পর থেকেই জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি। অপহৃত নাবিকদের উদ্ধারের বিষয়টি নিয়ে সরকার ও জাহাজ মালিকের পক্ষ থেকে সব ধরনের চেষ্টা চলছে।

পরিবারের একমাত্র ছেলে নিখোঁজ থাকলে তাদের তো আসলে ঈদ বলতে কিছুই থাকে না। তারপরও আমরা তাদের পাশে আছি।  আগামী সপ্তাহে নাজমুলের পরিবারকে আমরা সহযোগিতা করবো।



মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়
H009
KCS