স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার কাহালুতে তারাবীহ নামাজ শেষে বন্ধুর হাসুয়ার কোপে নিহত রেদুয়ান (১৮)এর হত্যাকারি আবুল কাসেমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হত্যা কান্ডের ২৪ ঘন্টা পার হওয়ার আগেই পুলিশ হত্যাকারিকে আটক করছে।
পাওয়া টাকা না পেয়ে তারাবীহ নামাজ শেষে কৌশলে একটি পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু রেদুয়ান (১৮)কে হত্যা করে আরেক বন্ধু কাসেম। গতকাল শুক্রবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলা পাতাঞ্জ গ্রামে আব্দুল মান্নানের পুকুর পাড়ে এই ঘটনা ঘটে।
বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্ত্তী আজ শনিবার (৬ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান, এই ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় আনা হয়।
তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রেদুয়ানের বন্ধু মাদরাসা ছাত্র আবুল কাসেম স্বীকার করে তিনি রেদুয়ানকে ১১ হাজার টাকা ধার দিয়ে আদায় করতে পারছেনা। সেই রাগে ধাপের হাট থেকে একটি বড় হাসুয়া কিনে আনে।
ঘটনার দিনে পুকুর পাড়ে সেই হাসুয়া রেখে দিয়ে স্থানীয় একটি মাচাংয়ে বসে ছিল কাসেম।তারাবীহ নামাজ পড়ে রেদুয়ান বাড়ি ফেরার পথে মোবাইলের সফটাওয়ার ইন্সটল করার কথা বলে কাসেম রেদুয়ানকে আব্দুল মান্নানের পুকুর পাড়ে ডেকে নিয়ে যায়।
সেখানে রেদুয়ান মাথা হেলে মোবাইল দেখার সময় কাসেম হাসুয়া বের করে রেদুয়ানের গলার পিছনে কয়েকটা কোপ মারে। তারপরে জীবিত থাকায় আবার হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে রেদুয়ানের মৃত্যু নিশ্চিত করে সেখান থেকে চলে আসে কাসেম।
পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়। এরপর সন্দেহভাজন তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনার পর রেদুয়ান হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করে পুলিশ। নিহত রেদুয়ান পাতাঞ্জ গ্রামের মোঃ মেরাজুলের ছেলে এবং গ্রেফতারকৃত আবুল কাসেম একই গ্রামের আব্দুল কাদেরের ছেলে।
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহার করা হাসুয়া আজ শনিবার (৬ এপ্রিল)পুলিশ আবুল কাসেমকে নিয়ে গিয়ে উদ্ধার করেন। এই ঘটনায় রেদুয়ানের বাবা মোঃ মেরাজুল বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। তিনি আরও জানান, কাসেম রেদুয়ানের কাছ থেকে পাওয়া টাকা আদায় করতে না পেরে সেই ক্ষোভে এই হত্যাকান্ড একাই ঘটিয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সবই স্বীকার করেছে কাসেম।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।