চেয়ারম্যান পদে করছে লড়বে ৭ উপজেলায়
স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি দলের দলীয় প্রতীকে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন না করার সিদ্ধান্তের পর জামায়াতে ইসলামী আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলেও স্থানীয় সরকারে এই নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
তবে সব উপজেলাতে নয়, নিজেদের দৃষ্টিতে যে সব উপজেলায় বিজয়ী হওয়ার সমূহ সম্ভবনা রয়েছে সেই সব উপজেলায় নির্বাচনে অংশ নিবে। এর মধ্যে বগুড়ার ১২ টি উপজেলার মধ্যে বগুড়া সদর আসনে জামায়াতে ইসলামীর বিজয়ের সম্ভবনা থাকলেও সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
সারিয়াকান্দি উপজেলার ব্যপারে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। বগুড়ার ১২ টি উপজেলার মধ্যে ৭টি উপজেলায় চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান এবং ৩ টি উপজেলায় কেবল মাত্র ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী দিচ্ছে জামায়াত।
জামায়াতে ইসলামীর একটি সূত্র বলছে, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন আর স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আওয়ামীলীগ একতরফাভাবে সংসদ নির্বাচন করে ক্ষমতায় গিয়ে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন নিরপেক্ষ করার কথা বলছে।
যেহেতু সরকার ঘোষনা দিয়েছে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হবে না। তাই জামায়াতে ইসলামী কিছু উপজেলায় নির্বাচনে অংশ নেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’ এই সূত্রটি বলছে ইতোপূর্বে বগুড়ার শাজাহানপুর, শেরপুর, কাহালু, শিবগঞ্জ, নন্দীগ্রাম, দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে ছিলেন। আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে নির্বাচনে যাচ্ছে দলটি।
জামায়াতে ইসলামীর সূত্রটি আরও জানিয়েছে, আসন্ন উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে সোনাতলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে এনামূল হক মন্ডল প্রার্থী হচ্ছেন, এই উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী থাকছেনা। ধুনট উপজেলায় অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম চেয়ারম্যান এবং সাবেক ভাইস চেয়ারম্যন রেজাউল করিম ভাইস চেয়ারম্যান পদে এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে লাকী আকতার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
শেরপুরে চেয়ারম্যান পদে সাবেক চেয়ারম্যান দবির উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে এড. আব্দুল হালিম এবং নারী ভাইস চেয়ার্যানপদে লুৎফুন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। শাজাহানপুরে চেয়ারম্যান পদে মাওঃ আব্দুস সালাম চেয়ারম্যান, মাওঃ শহিদুল ইসলাম ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান মনজুয়ারা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
গাবতলীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাওঃ আব্দুল মজিদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। কাহালুতে চেয়ারম্যান পদে মাওঃ তায়েব আলী ভাইস চেয়ারম্যান পদে শহিদুর রহমান সবুজ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নন্দীগ্রামে চেয়ারম্যান পদে আনোয়ারুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরুল ইসলাম রাজু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
দুপচাঁচিয়াতে চেয়ারম্যান পদে নূর মোহাম্মাদ আবু তাহের, ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনসুর আলী নির্বাচন করবেন। আদমদিঘী উপজেলায় ডা. ইউনূস ভাইস চেয়ারম্যান এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মালা বেগম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এছাড়াও শিবগঞ্জ উপজেলায় আনম আলমগীর হোসাইন চেয়ারম্যান পদে এবং ভাইস চেয়ারম্যান পদে অধ্যাপক আব্দুল হালিম বিপ্লব প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
জামায়াতে ইসলামী বগুড়ার নায়েবে আমীর আনম আলমগীর হোসাইন জানান, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তারা অংশ নিচ্ছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার ব্যাপারে তাদের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ছিলো বলে নির্বাচনে অংশ নেয়নি জামায়াত।
বগুড়া সদর প্রসঙ্গে বলেন সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আবেদুর রহমান সদরে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে পারেন। তিনি না করলে সদরে প্রার্থী থাকবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, দৈনিক করতোয়া এর দায়ভার নেবে না।